ঘরে প্রশান্তি

চার দেয়ালে ঘেরা বাড়ি মানেই শান্তির আলয় নাও হতে পারে। ঘরের পরিবেশ আরামদায় ও স্বস্তিকর করতে বিশেষ কিছু দিক নজর দিতে হয়।

গৃহসজ্জাবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে চার দেয়ালে ঘেরা বাড়ি, মনের মতো ঘর বানানো পাঁচটি উপায় সম্পর্কে জানা যায়।  

আলো: বাড়িতে অবশ্যই উন্নতমানের আলোক ব্যবস্থা থাকতে হবে। বাসার আলোক ব্যবস্থা ঠিক থাকলে তা আপনি নিজেই উপলব্ধি করতে পারবেন। প্রাকৃতিক আলোতে রং সবচেয়ে ভালো বোঝা যায়। ঘরে প্রাকৃতিক আলোর ব্যবস্থা করতে জানালার অবস্থান সঠিক স্থানে হওয়া জরুরি। এতে বাসায় আলোর প্রবাহ বাড়ানো যায়। দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আলো বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং আলোর মানেরও পরিবর্তন হতে থাকে যেমন- ভোরের আলো, মাঝ সকালের আলো, বেলা চারটার অর্থাৎ অপরাহ্ণের আলো এবং সন্ধ্যার আলো। আলোর এই পরিবর্তন বাসার আভ্যন্তরীণ সাজসজ্জায়ও জাদুকরি পরিবর্তন আনতে পারে।   

আকর্ষণীয় দেয়াল:

বাসায় পছন্দের দেয়াল অথবা যে দেয়ালটা খুব সহজেই অন্যের চোখে পড়ে তা সাজাতে পারেন ভিন্ন রংয়ে। এই দেয়ালটার দিকে অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য ঘরের অন্যান্য দেয়ালের রংয়ের সঙ্গে কনট্রাস্ট বা ভিন্ন হয় এমন কোনো রং ব্যবহার করতে পারেন। আপনার ঘরের রং সাদা হলে আপনি একটি আলাদা দেয়ালে যোগ করতে পারেন অথবা কোনো এক পাশের দেয়ালকে রং করে তাতে ভিন্ন রং ব্যবহার করে নকশা করতে পারেন।

কুশন: বিছানা ও সোফায় কয়েকটা কুশন রাখুন। এটা আপনার বাসাতে একটা আরামদায়ক ও স্বাগতপূর্ণ আবহ তৈরি করবে। কুশন ব্যবহারে বাসায় একটা আরামদায়ক, স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে।

পরিপাটি ঘর: বাসার সব জিনিসপত্র ঠিক স্থানে গুছিয়ে রাখা হলে তা বাসার পরিবেশে আমূল পরিবর্তন আনে। বাড়ি যে একদম ঝকঝকে থাকবে তা নয়। তবে এটা পরিষ্কার পরিপাটি রাখলে, ঘরের জিনিসপত্র ঠিক স্থানে সংরক্ষণ করলে তা বাসার পরিবেশে আরামদায়ক ও পবিত্র অনুভূতি দান করে।  

আসবাবপত্র: বসার ঘর, শোবার ঘর, খাবার ঘর অথবা পড়ার ঘর যে কোনো ঘরের জন্যই আরামদায়ক আসবাব জীবনযাত্রায় আমূল পরিবর্তন আনতে পারে। তাই খাবার ঘরের চেয়ার টেবিলের মাপ, বসার ঘরের সোফা ইত্যাদি যেন আরামদায়ক ও মাপ মতো হয় এবং তা যেন টেনে ঠিক করার অর্থাৎ সবাই নিজের সুবিধা মতো টেনে বসতে পারবে এমন ব্যবস্থা থাকে। এতে করে বাসার সবাই তা আরামে ব্যবহারে করতে পারবে।

আরও পড়ুন

ঘর বুঝে চাদর  

শীতে উষ্ণ ও আরামদায়ক ঘর

ধুলার সঙ্গে যুদ্ধ করতে

মনের মতো পড়ার জায়গা