সাম্প্রতিক গবেষণায় এমন তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
গর্ভাবস্থার প্রথম দিকেই শিশুর হৃদযন্ত্র গঠিত হয়। আর মায়ের ডায়বেটিস থাকলে এই হৃদযন্ত্রের গঠনে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা প্রকট, ডাক্তারি ভাষার একে বলা হয় ‘কনজেনিটল হার্ট ডিফেক্ট’ বা জন্মগত হৃদযন্ত্রের ক্রুটি। তবে নতুন এই গবেষণা ইঙ্গিত করছে, গর্ভবর্তী নারীর ডায়বেটিস না থাকলেও এই ঝুঁকি রয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক জেমস প্রিস্ট বলেন, “হৃদযন্ত্রের ত্রুটি নিয়ে জন্ম নেওয়া অধিকাংশ শিশুর মায়েরা ডায়বেটিক বা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন না।”
গর্ভাবস্থায় প্রাথমিক পর্যায়ে মায়ের রক্তে শর্করার মাত্রা প্রতি ১০ মিলিমিটার বৃদ্ধির কারণে গর্ভের সন্তানে ‘কনজেনিটল হার্ট ডিফেক্ট’ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় ৮ শতাংশ।
প্রিস্ট আরও বলেন, “মায়ের ডায়বেটিস না থাকলে কিংবা গর্ভাবস্থায় ডায়বেটিসে আক্রান্ত না হলেও গর্ভকালীন প্রথম তিন মাস তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা বিশ্লেষণ করে সন্তানের ‘কনজেনিটল হার্ট ডিজিজ’ হওয়ার ঝুঁকি অনুমান করতে পারি আমরা।”
‘দ্য জার্নাল অফ পেডিয়াট্রিকস’য়ে প্রকাশিত এই গবেষণার জন্য ১৯ হাজার ১০৭ জন গর্ভবর্তী মা ও শিশুর ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ডাক্তারি রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকরা। এদের মধ্যে ছিল মায়ের রক্ত পরীক্ষা, জন্মের আগে ও পরে শিশুর হৃদযন্ত্রের পরীক্ষা ইত্যাদি।
শিশুর হৃদযন্ত্রে জন্মগত সমস্যা নিয়ে ভূমিষ্ঠ হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে মায়েদের সতেচন করতে উদ্বুদ্ধ করবে এই গবেষণা।
প্রিস্ট বলেন, “এই ঝুঁকি সম্পর্কে আগেভাগেই জানতে পারলে মায়েরা নিজেদের সঠিকভাবে যত্ন নেবেন, ফলে শিশু স্বাস্থ্যবান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।”
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন