মানে সারা সপ্তাহ কম ক্যালরি বা নিয়ন্ত্রিত খাবার গ্রহণ করে অন্তত একটা দিন পিৎজা বা বার্গার খেয়ে জিহ্বাকে শান্ত রাখা যায়।
আর এরকম ফলাফলই পাওয়া গেছে পর্তুগালের এক গবেষণায়।
জার্নাল অফ কনজিউমার সাইকোলজি’তে প্রকাশিত এই গবেষনায় জানানো হয়, স্থূলতার জন্য দায়ী খাবারগুলো খেয়ে ওজন কমানোর মুলমন্ত্র হল সপ্তাহের একটি দিন সুনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে প্রতারণা করা।
স্বাস্থ্যকর খাবারের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে একটি দিন নিজের প্রিয় খাবারগুলো খেয়ে নিজেকে পুরস্কৃত করা। এতে কী হবে? এই একদিনের তৃপ্তি পুরো সপ্তাহ জুড়ে নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকার অনুপ্রেরণা দেবে।
অপর দলের খাদ্যাভ্যাসে তা ছিল না। ফলাফলে দেখা যায়, সপ্তাহে একদিন যাদের জাঙ্কফুড খাওয়ার অনুমতি ছিল, তারাই ওজন কমানোর লক্ষ্যে অটুট থেকেছেন। আর অপর দল দ্রুত ওজন কমানোর আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।
এই গবেষণার প্রধান ‘কাতোলিকা লিসবন স্কুল অফ বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্স’য়ের সহযোগী অধ্যাপক রিতা কোয়েলো ডো ভালি বলেন, “ওজন কমানোর জন্য কঠোর নিয়ন্ত্রণে থাকা খাদ্যাভ্যাসের মাঝে একদিন পছন্দের খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ওই নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকা আরও সহজ হয়।”
যে ডোনাট খেতে অনেক পছন্দ করে, যে যদি জানে যে সপ্তাহে একদিন সে ডোনাট খেতে পারবে, তবে খাবারটি সামনে পেলেই টপাটপ খাওয়া শুরু করবে না, বিশেষ ওই দিনটির জন্য অপেক্ষা করবে।
তবে, একেবারেই না খেলে ধৈর্যের বাঁধ একদিন ভেঙে যাবেই, আর সেদিন ওজন কমানোর জন্য করা সকল সংযম বৃথা হয়ে যেতে পারে।
তবে সপ্তাহে একদিন প্রিয় খাবার খাওয়া যাবে বলেই যে গোগ্রাসে গিলবেন এমনটা মনে করলে আবার বিপদ।
তাই নজর রাখতে হবে পরিমাণের দিকে। একদিন প্রিয় খাবার খাওয়ার উদ্দেশ্য হল মন প্রফুল্ল রাখার জন্য দায়ী হরমোনগুলোকে শরীরে নিঃসৃত হওয়ার সুযোগ দেওয়া।
ওহ আরেকটা বিষয়, মুখরোচক খাবার খাওয়ার দিনটিতে ক্যালরি আর প্রোটিন গ্রহণের বিষয়টা খেয়াল রাখবেন। বেহিসিবি হলে কিন্তু হবে না।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন