রেসিপি দিয়েছেন বীথি জগ্লুল
উপকরণ: গরু কিংবা খাসির মাংস ২ কেজি। পোলাওয়ের চালের গুঁড়া দেড় কাপ। পেঁয়াজকুচি ১ কাপ। আদাবাটা ২ টেবিল-চামচ। রসুনবাটা ৩ টেবিল-চামচ। হলুদ ও ধনে গুঁড়া ৩ চা-চামচ করে। মরিচ ও জিরা গুঁড়া ৩ টেবিল-চামচ করে। গরম মসলাগুঁড়া ২ টেবিল-চামচ। এলাচ ও লং ৭,৮টি করে। গোলমরিচ ১০, ১২টি। তেজপাতা ৩, ৪টি। দারুচিনি ৪ টুকরা। কাঁচামরিচ ৭,৮টি। লবণ ও তেল প্রয়োজন মতো।
ফোঁড়নের জন্য: পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল-চামচ। রসুনের কোয়া আস্ত ১টি থেঁতো করা। আস্ত জিরা ২ চা-চামচ। শুকনামরিচ ৩, ৪টি।
মাংস সিদ্ধ হলে ঝোল বা পানিতে মাংসের স্বাদ চলে আসলে ২ কাপ পরিমাণ পানি বা ঝোল উঠিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন। তারপর এই ঝোল বা পানিতে চালের গুঁড়া গুলিয়ে নিন।
এবার অল্প করে এই মিশ্রণ মাংসে ঢালুন আর নাড়তে থাকুন। সব দেওয়া হলে কিছুক্ষণ জ্বাল দিন।
চালের গুঁড়া সিদ্ধ হয়ে গেলে ফালি করা কাঁচামরিচ মিশিয়ে ঢেকে চুলা থেকে হাঁড়ি নামিয়ে রাখুন।
ফোঁড়ন: অন্য একটি প্যানে তেল গরম করে, জিরা ও শুকনামরিচ ফোঁড়ন দিয়ে পেঁয়াজ ও রসুন দিন। কিছুক্ষণ ভেজে সোনালি হলে মাংসের উপর ঢেলে মসলাগুঁড়া ছড়িয়ে ঢেকে রাখুন।
সাদাভাত, পোলা্ও বা রুটি দিয়ে পরিবেশন করুন দারুণ মজার পিঠালী।
নোট: পিঠালীর ঘনত্ব পছন্দ বা রুচির ওপর নির্ভর করবে। অনেকটা হালিমের ঘনত্বের মতো হলেই এটা বেশি ভালো লাগে। তবে একটু পাতলা খেতে চাইলে চালের গুঁড়া এক কাপ দিলেই হবে। আর যদি ঘন খেতে চান তাহলে দেড় কাপ দেবেন।
আলাদা করে সাধারণ পানি কখনই দেবেন না। পানি কমে গেলে গরম পানি দেবেন।