সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন তথ্যই পাওয়া গিয়েছে।
গর্ভবতী নারীরা গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাসে উচ্চমাত্রার ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড গ্রহণ করতে গর্ভের সন্তানের শ্বাস-প্রশ্বাসজনীত সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থেকে বাঁচায়, এমনটাই জানা গেছে গবেষণায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ফ্লোরিডার অধ্যাপক রিচার্ড লকি বলেন, “প্রতি সপ্তাহে আট থেকে ১২ আউন্স পরিমাণ মার্কারি কম এমন মাছ খেলে হাঁপানি থেকে সুরক্ষা মিলবে। পাশাপাশি গর্ভের সন্তানের বেড়ে ওঠা ও বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলোকেও করে শক্তিশালী।”
‘জার্নাল অফ অ্যালার্জি অ্যান্ড ক্লিনিকাল ইমিউনোলজি’তে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়। গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাসে থাকা তিন দল নারীর উপর এই গবেষণা করা হয়।
একদলকে প্রতিদিন মাছের তেল থেকে তৈরি ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড খাওয়ানো হয়, দ্বিতীয় দলকে খাওয়ানো হয় শরীরের উপর কোনো প্রভাব ফেলে না এমন খাবার। আর তৃতীয় দলকে নাম দেওয়া হয় ‘নো অয়েল’ দল, যাদের বলা হয়, নিজের পছন্দ অনুযায়ী মাছ অথবা মাছের তেল যে কোনো একটি খেতে।
ফলাফলে দেখা যায়, প্রথম ও দ্বিতীয় দলে থাকা গর্ভবতী নারীদের সন্তানরা ২৪ বছর বয়স পর্যন্ত হাঁপানির ওষুধ সেবন করেছে সবচাইতে কম। অর্থাৎ দুই দলের মায়েদের সন্তানরা হাঁপানিতে আক্রান্ত হয়েছে সবচাইতে কম।
ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ফ্লোরিডার ইয়েন সিং লিন বলেন, “ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মানবদেহে সংশ্লেষণ করা সম্ভব নয়। তাই এর একমাত্র উৎস হল সামুদ্রিক মাছ।”
ছবি: রয়টার্স।