আর এই ফলাফল পাওয়া গেছে একটি গবেষণায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, কর্মক্ষম মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা এতটাই বেশি হয় যে, মানুষ তাদের মস্তিষ্ককে অন্যমনস্ক হওয়া থেকে রোধ করতে পারেন না।
এরিক সুমাকার, যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টাতে অবস্থিত জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির সহ-অধ্যাপক বলেন, “জেগে স্বপ্ন দেখা বা অন্যমনস্ক হয়ে যাওয়াকে মানুষ নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে। এরা কোনো কাজে মনযোগ দিতে চায় কিন্তু পারে না। আমাদের সংগ্রহ করা তথ্য বলে, বিষয়টি সবসময় সত্য না। কিছু মানুষের মস্তিষ্ক আসলে একটু বেশিই সক্রিয়।”
আরও বলেন, “মস্তিষ্কের সক্রিয়তা বেশি মানে হল চিন্তা করার ক্ষমতা বেশি। তাই সহজ কোনো কাজ করার সময় মস্তিষ্ক ভিন্ন কোনো বিষয়ে চিন্তা করা শুরু করতে পারে।”
‘নিউরোসাইকোলজিয়া’ শীর্ষক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় গবেষকরা অংশগ্রহণকারীদেরকে এমআরআই যন্ত্রে বসিয়ে তাদের তাদের মস্তিষ্কের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করেন।
এই সংগৃহীত তথ্য ব্যবহার করে সনাক্ত করা হয় জাগ্রত কিন্তু বিশ্রাম নেওয়া অবস্থায় তাদের মস্তিষ্কের কোন অঞ্চলগুলো একত্রে কাজ করে।
একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডক্টরাল স্টুডেন্ট’ ক্রিসটিন গডউইন বলেন, “পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত অঞ্চলগুলো দেখে আমরা জানতে পারি মস্তিষ্কের কোন অংশগুলো জেগে থাকা অবস্থায় একসঙ্গে কাজ করে।”
“মজার ব্যাপার হল, আমাদের গবেষণা ইঙ্গিত করে যে বিভিন্ন জ্ঞানীয় কার্যাবলী করার সময়ও মস্তিষ্কে একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়।”-বলেন গডউইন।
গবেষকরা জানান, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা ঘন ঘন অন্যমনস্ক হয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছিলেন, গবেষণা তাদেরকেই বলছে বেশি বুদ্ধিমান ও সৃজনশীল। এমআরআই যন্ত্রের মাধ্যমে জানা গেছে তাদের মস্তিষ্কের সক্রিয়তাই তুলনামূলক বেশি।
প্রতীকী ছবির মডেল: মাহা। ছবি: দীপ্ত।
আরও পড়ুন