সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমনই ফলাফল পাওয়া গেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশু সকাল সাড়ে আটটার আগে স্কুলে যায় তারা পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে পারে না অথবা শরীর কার্যক্ষম থাকার জন্য যে আট থেকে ১০ ঘণ্টার ঘুম প্রয়োজন তা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব রোচেস্টার’য়ের অধ্যাপক জ্যাক পেল্টজ বলেন, “রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একজন ভালো ছাত্র যখন সব কাজ ঠিকঠাক মতো করে তারপরও ‘সকালে আগে ঘুম থেকে উঠতে হবে’– এটা তার মস্তিষ্কে ঘুমের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপ ফেলে। যা মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর। অন্যদিকে, সকালে দেরিতে স্কুল শুরু হবে এটা শিশুদের ঘুমের ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষার মতো কাজ করে”
স্কুলের সময় কেবল ঘুমের অভ্যাসের ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলে না, পাশাপাশি শরীরের দৈনিক কার্যকলাপের উপরও প্রভাব ফেলে। এর মধ্যে মূল স্বাস্থ্য সমস্যা হল স্থূলতা, হৃদপিণ্ডের অসুস্থতা এবং কৈশোরের অন্যান্য সমস্যা।
দা জার্নাল স্লিপ হেলথ’য়ে প্রকাশিত এই গবেষণায় আরও জানানো হয়, ঘুমের সময় নির্দিষ্ট করা, আট থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমানো, পরিমিত ক্যাফেইন খাওয়া, ঘুমাতে যাওয়ার আগে টেলিভিশন ও ফোন বন্ধ করা- ঘুমের গুণগত মান ভালো করার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
গবেষকরা অনলাইনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ১৯৭ জন ছাত্রছাত্রীর তথ্য সংগ্রহ করেন যাদের বয়স ১৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে।
গবেষকরা দেখেছেন যে, দৈনিক হতাশা ও উদ্বেগের লক্ষণ কমানোর ক্ষেত্রে ভালো ঘুম সরাসরি জড়িত।
যেসব শিক্ষার্থী সকাল সাড়ে আটটার আগে স্কুলে যায় তাদের তুলনায় যাদের সাড়ে আটটার পরে স্কুলে যেতে হয় তাদের হতাশার সম্ভাবনা কম।
পেল্টজের মতে, “এই পার্থক্যের সম্ভাব্য কারণ হতে পারে, যারা আগে স্কুলে যায় তাদের মধ্যে ভালো ঘুম না হওয়ার চাপ বেশি থাকে।”
আরও পড়ুন