স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে ১০ খাবার

রোগ হওয়ার আগেই প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই সঠিক হাতিয়ার। আর প্রকৃতিতেই রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধের অস্ত্র।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Oct 2017, 09:44 AM
Updated : 10 Oct 2017, 09:44 AM

খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের ফোর্টিস মেমোরিয়েল রিসার্চ ইন্সটিটিউট’য়ের জ্যেষ্ঠ ক্লিনিক্যাল পুষ্টিবিদ ও সমন্বয়কারী টিনা সাপ্রা এবং মেট্রোপলিস হেলথকেয়ার, মুম্বাই’য়ের ডা. ভান্দানা মাথুর বেশ কয়েকটি খাবারের নাম উল্লেখ করেন যেগুলো স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।

ডালিম

স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে ডালিম বিশেষভাবে সহায়তা করে। এতে আছে পলিফেনল নামক এলাজিক অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা ক্যান্সারের বৃদ্ধি প্রতিরোধে সাহায্য করে। এই মজার ফল প্রতিদিনের খাবার তালিকায় যোগ করে কার্যকর স্বাস্থ্য উপকারিতা লাভ করা সম্ভব। 

তিসি

স্তন ক্যান্সারের জন্য দায়ী ক্যান্সারের কোষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কার্যকার ভূমিকা পালন করে তিসিতে থাকা ওমেগা-থ্রি, লিগনান্স এবং আঁশ।

তিসির বীজ, আস্ত তিসি বা তিসির তেল খাবারে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। স্মুদিতে তিসি যোগ করে অথবা তিসির তেল সালাদে ড্রেসিং করার কাজেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও খাবার বেইক করতে যেমন বিস্কুট বা মাফিন তৈরি করতে তিসি ব্যবহার করা যায়।

ব্রাজিল নাটস

এই বাদামে রয়েছে উচ্চমাত্রায় সেলেনিয়াম, আঁশ এবং ফাইটোকেমিক্যাল। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, প্রদাহ এবং টিউমারের বৃদ্ধি কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক মুঠো ‘ব্রাজিল নাট’ এই চমকপ্রদ কাণ্ড ঘটাতে সক্ষম। 

রসুন

ক্যান্সার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার উপাদান ‘অ্যালিয়াম’ উচ্চ মাত্রায় থাকে এই মসলায়। রসুন ছাড়াও এই ধরনের অন্যান্য মসলা যেমন- পেঁয়াজ, পেঁয়াজজাতীয় গাছেও এই উপাদান পাওয়া যায়।

এগুলো টিউমারের বৃদ্ধি রোধ ও কোলোরেক্টাল ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে একটি রসুন ছেঁচে বা গিলে খেলে তা সারাজীবনের জন্য ক্যান্সার থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। 

গাঢ় সবুজ পাতাবহুল সবজি

পাতাকপি, পালংশাক ইত্যাদি স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধের ‘ওয়ান স্টপ শপ’ হিসেবে বিবেচিত। এছাড়া দেহের জন্য প্রয়োজনীয় আঁশ, ভিটামিন বি, ফাইটোকেমিকল, ক্লোরোফিল ইত্যাদি মিলবে গাঢ় সবুজ পাতাবহুল সবজিতে। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় এই ধরনের সবজি রাখা উচিত । 

স্যামন মাছ

ওমেগা-থ্রি এবং ভিটামিন বি-টুয়েল্ভ, ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ যা শরীরের পুষ্টি সরবারহ করে এবং কোষের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

ব্রোকলি ও এর কচিপাতা

ব্রোকলিতে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় সালফোরোফেন এবং ইন্ডোলেস উপাদান। স্তন, মূত্রাশয়, লিম্ফোমা, প্রোস্টেট এবং ফুসফুস ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধিতে বাঁধা দেয়। 

গ্রিন টি

নিয়মিত গ্রিনটি খাওয়া হলে তা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। গ্রিন টি’র ফাইটোকেমিকল নামক উপাদান শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন দুএক কাপ গ্রিন টি খাওয়া ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

মরিচ

যে কোন ধরনের মরিচেই আছে ফাইটোকেমিকল যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে। মরিচ বা হেলাপিনোতে আছে ক্যাপসাইসিন। এটি ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে বাঁধা দেয়। কাঁচামরিচ ক্লোরোফিলের ভালো উৎস। যা অন্ত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। আর লালমরিচে থাকে ক্যাপসাইসিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যারোটেনোয়েডস। 

হলুদ

আছে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার উপাদান কারকিউমিন। এটি স্তন, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল, ফুসফুস এবং ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এক চিমটি হলুদ অনেক কঠিন ক্যান্সারের কোষের বিরুদ্ধেও কাজ করে থাকে।

ছবি: নিজস্ব ও রয়টার্স।

আরও পড়ুন