৫ ধরনের খাবারে ত্বক বিষাক্ত

ত্বক সুন্দর রাখতে শুধু রূপচর্চা করলেই হয় না, পাশাপাশি চাই স্বাস্থকর খাদ্যাভ্যাস।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Oct 2017, 10:42 AM
Updated : 3 Oct 2017, 10:42 AM

শরীরে খাবার দরকার। তবে কিছু খাবার বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।

এই বিষয়ের উপর প্রকাশিত খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে পুষ্টিবিজ্ঞানের বরাত দিয়ে পাঁচ ধরনের খাবার সম্পর্কে জানানো হয়। যেগুলো প্রচলিত ধ্যান ধারণা থেকে আমরা বেশি খাই। যা ত্বকের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।

এই প্রতিবেদনে ত্বকের স্বাস্থ্য নষ্ট ও লোমকূপ সংকুচিত করে এমন কিছু খাবারের পাশাপাশি ত্বক সুস্থ রাখতে প্রয়োজন এমন কিছু খাবারের কথা তুলে ধরা হল।

অ্যালকোহল

অ্যালকোহল ব্রণের জন্য খুব একটা দায়ি না হলেও এটা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। অ্যালকোহল পান করার পরও অনেকের ত্বকে ক্ষতি হয় না।

তারপরও মনে রাখতে হবে-

* অ্যালকোহল হরমোনের মাত্রা পরিবর্তন করে যা সরাসরি ব্রণ ও অস্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য দায়ি।

* লোমকূপ সংকুচিত করে এবং বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।

এটা ত্বকের বর্তমান সমস্যার পরিমাণ আরও বাড়িয়ে তোলে অথবা ত্বকের নিত্য নতুন সমস্যার সৃষ্টি করে।

দুগ্ধজাত খাবার

দুধের তৈরি খাবার বাদ দিয়েছে এমন অনেকের কাছ থেকেই জানা যায় যে, এটা ত্বকের স্বাস্থ্যের উপর ভালো প্রভাব ফেলে। তাছাড়া প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, দুধের তৈরি খাবার ব্রণের সমস্যা আরও বাড়িয়ে তোলে। তবে অনেকে এটা জানেন না, দুধের তৈরি খাবার ব্রণ সৃষ্টিও করতে পারে।

নিউ ইয়র্কের নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ মারিয়া বেলা জানান, তার বেশিরভাগ তরুণ তরুণী ও ক্লায়েন্টদের মধ্যে একটা বিষয় খুব সাধারণ। তাদের খাবার তালিকা থেকে দুধের তৈরি খাবার বাদ দিয়েছেন। ডেইরি পণ্য যেমন– দুধ খাওয়ার সঙ্গে ব্রণ, ত্বকের ক্ষতি ও বয়সের ছাপের সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা তিনি। 

চিনি

শুনে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, ত্বকের সব ধরনের ক্ষতি করার জন্য চিনি একাই যথেষ্ট। এটা কেবল ত্বকের লোম সংকুচিত করে না বরং প্রদাহ, বলিরেখা, শুষ্কতা এবং ত্বক ঝুলে পড়ার সমস্যারও সৃষ্টি করে।

অস্বাস্থ্যকর উচ্চ কার্বহাইড্রেইট সমৃদ্ধ খাবার চিনি ছাড়া আর কিছুই না এবং এগুলো ত্বকের জন্য অনেক ক্ষতিকর। যেমন- ভাত, রুটি ও পাস্তা। নিজের ত্বক যদি রক্ষা করতে চান তাহলে পূর্ণশষ্য থেকে তৈরি খাবার বেছে নেওয়া সবচেয়ে ভালো।

লবণ

একমাত্র উপাদান যা বাহ্যিকভাবে প্রয়োগ করা হলে ত্বক ভালো থাকে এবং খাওয়া হলে ত্বকের ক্ষতি হয়।

জানা প্রয়োজন যে, অতিরিক্ত লবণের কারণে ত্বকের লোমকূপ সংকুচিত হয়ে যায়। লবণ খাওয়ার কারণে ত্বকে পানি স্বল্পতা দেখা দেয়। ফলে ত্বক হারায় আর্দ্রতা, যা ফিরিয়ে আনা বেশ কষ্টসাধ্য।

অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ ত্বক শুষ্ক করে দেয়। ফলে বলিরেখা ও বয়সের ছাপ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।

এছাড়া অতিরিক্ত লবণ খাওয়া হলে ব্রণের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয় এবং শরীর ও ত্বকে প্রদাহের সৃষ্টি করে।

ময়দা

উচ্চ-গ্লাইসেমিক খাবার (যেমন- পাস্তা, সাদা পাউরুটি) শর্করায় পরিণত হয়। উচ্চ-গ্লাইসেমিক খাবার ত্বকে প্রদাহ, বলিরেখা, শুষ্কতা ও চামড়া ঝুলে পড়া ইত্যাদি সমস্যা তৈরি করে।

সুসংবাদ হল, অধিকাংশ খাবারই পূর্ণশস্য থেকে পাওয়া যায়। খাদ্যশস্য থেকে তৈরি রুটি, ভাত ইত্যাদি ময়দা দিয়ে তৈরি খাবারের তুলনায় শরীর ও ত্বকের জন্য বেশি ভালো।

স্বাস্থ্যকর ত্বকের খাদ্য

শুধু ত্বকের জন্যই নয়, নিচের খাবারের পরিমাণ ও বৈচিত্র্য ত্বকের সুস্বাস্থ্যের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।

টমেটো- এটা রোদপোড়াভাব ও সুর্যের কারণে ক্ষতি দূর করে।

ডার্ক চকোলেট- ত্বকের মসৃণভাব বৃদ্ধি করে এবং সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে।

আখরোট– ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে। 

বেরিজাতীয় ফল- স্ট্রবেরি, ব্লু বা ব্ল্যাক বেরি কিংবা আঙুর ত্বকের গঠন সুন্দর করে এবং বলিরেখা পড়া থেকে বিরত রাখে। 

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন