কর্মক্ষেত্রে প্রেমানুভূতি সামলান

অফিসে কারও প্রেমে পড়তেই পারেন! এক্ষেত্রে একদিকে যেমন থাকে খুনসুটির তাড়না তো অপরদিকে থাকে অন্যান্য সহকর্মীদের চোখে পড়ে যাওয়ার ভয়। তাই ‘অফিস-রোমান্স’য়ে হতে হবে কৌশলী।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Oct 2017, 09:54 AM
Updated : 2 Oct 2017, 11:16 AM

এই ধরনের পরিস্থিতি যাতে ঘোলাটে না হয় সেজন্য মানসিকস্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে মনকে সামলে রাখার কিছু পন্থা জানানো হল।

* অফিসের ভালোলাগার মানুষটি আপনার অনুভূতির কারণে সবার আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠুক তা আপনি কখনই চান না। তাই আপনার অনুভূতি যেন অফিসে ভেতরে কারও সামনে প্রকাশ না পায় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

* ভালোলাগার ব্যাপারটা যদি দুপক্ষেরই হয় তবে দুজনকেই আরও বেশি সাবধান হতে হবে। নিজেদের মধ্যে কঠোর সীমাবদ্ধতা রাখতে হবে এবং সবসময় পেশাজীবী আচরণ বজায় রাখতে হবে। দুজন মিলে নতুন কাজের নিত্য নতুন কৌশল আবিষ্কারের চেষ্টা করতে পারেন। তবে অফিসে বসে একে-অপরের সঙ্গে ‘আহ্লাদি’ বার্তা আদান-প্রদান থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়।

* ভালোলাগার মানুষটি যেন আপনার অনুভূতির অপব্যবহার না করে সে দিকে নজর রাখুন।

* ভালোলাগার কথাটা সহকর্মীকে জানানোর আগে ভাবতে হবে পরিণতি কী হতে পারে! বিষয়টা নেতিবাচক মোড় নিলে কীভাবে সামলাবেন? আপনাদের পেশাগত সম্পর্কে কি তা প্রভাব ফেলবে?

* সহকর্মীর প্রতি ভালোলাগা তৈরি হলে কাজে মনোযোগ ধরে রাখা কষ্টকর। তাই সবসময় নিজেকে কাজের মধ্যে ডুবিয়ে রাখার চেষ্টা করতে হবে।   

* অফিসের কাজ ফাঁকি দিয়ে তাকে নিয়ে দিবাস্বপ্ন দেখা চলবে না। তাই যখনই মনে প্রজাপতি ওড়া শুরু করবে তখনই চিন্তা করতে হবে চাকরি না থাকলে বাড়িভাড়া কীভাবে দেবেন? খাবেন কী?

* সহকর্মীদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক যদি অফিসের নিয়ম বহির্ভুত হয়. তবে ভালোলাগা সহকর্মীর সঙ্গে আলাপচারিতা কাজের বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

* সহকর্মীর প্রতি ভালোলাগার অনুভূতিটা কতটুকু সত্যিকারের? তা কি শুধুই পছন্দসই সঙ্গী খুঁজে না পাওয়ার কারণেই! এরকম হলে অফিসের বাইরে নতুন বন্ধু-বান্ধবী গড়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে। নিজেকে সামাজিকভাবে মিশুক প্রকৃতির মানুষ হিসেবে তৈরি করতে হবে।

* নিজের ভালোলাগার জন্য অপরাধী মনে করা উচিত নয়। কারণ নিজের আবেগকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। বরং বিষয়টাকে উপভোগ করতে হবে। সামান্য চোখচোখি, মুচকি হাসি ইত্যাদির মাঝে আনন্দ খুঁজতে হবে। প্রেম হোক আর না হোক, কাজের চাপ ভুলিয়ে দিতে এগুলো অনেক কার্যকর।

ছবির প্রতীকী মডেল: নদী ও অনিন্দ্য। ছবি: দিপ্ত।

আরও পড়ুন