আপনার স্বাচ্ছন্দ্য, রুচি ও ব্যাক্তিত্বের সঙ্গে মিলে এমন সাজ সাজাই বেশি ভাল। তবে দিন ও রাতের কথা বিবেচনা করে সাজগোজ করা উচিত।
নবমীর সাজ সজ্জার খুঁটিনাটি বিষয় গুলি নিয়ে পরামর্শ দেন শিবানি’জ অ্যারোমার কর্নধার শিবানী দে।
নবমীর দিনের সাজ
নবমী তাই সাজ হবে অন্য রকম । দিনের বেলার সাজে ‘ন্যাচারাল লুক’ ধরে রাখা জরুরি। দিনে মন্দিরে যাওয়া বা পূজার অঞ্জলি দেওয়ার সময় প্রকৃতির সজীব ভাবটা সাজে থাকা চাই। যে কোন রঙ এর শাড়ি পরতে পারেন এদিনে।
দিনের উৎসবে বেইজ করার জন্য ত্বকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার বা খুব হালকা করে ফাউন্ডেশন লাগাতে পারেন। ফাউন্ডেশন হালকা করার জন্য এতে কিছুটা পানি মিশিয়ে নিন। খুব অল্প পরিমাণে লাগিয়ে এর ওপর পাউডার বুলিয়ে নিন। তবে মেকআপের শুরুতে ক্লিনজিং মিল্ক দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে সানস্ক্রিন লোশন লাগাতে ভুলবেন না।
গয়নার ক্ষেত্রে সিলভার/মেটাল প্লেটের প্রাধান্য দিতে পারেন। বাইরে বের হওয়ার আগে ভালো মানের পারফিউম ব্যবহার করুন।
চুল সামনের দিকে সেট করে পিছনে খোপা করে রাখুন। কানের পিছনে ফুল গুজে দিন। সজীব লাগবে দেখতে।
নবমীর রাতের সাজ
নবমীতে হয় সান্ধ্য পূজা। তাই সবাই সন্ধ্যার পরই মন্দিরে যান। আর সন্ধ্যার পর বলেই এদিন অনেকটা জমকালো সাজে সাজেন সবাই। ভারি গয়না, রং-বৈচিত্র্যপূর্ণ পোশাক, ভারী মেকআপ, চুলের সাজ, তাজা ফুল এদিনের সাজের অনুষঙ্গ।
নবমীর রাতে মেইকআপ করার জন্য ফাউন্ডেশন দেওয়ার আগে প্রাইমার লাগিয়ে নিন। কনসিলার আপনার মুখের দাগ, চোখের নিচের কালি ঢেকে দেয়।
পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে চোখে আইশ্যাডো লাগিয়ে নিন। এর ওপর হাইলাইট করুন সিলভার কালার দিয়ে। চোখের বাইরের কোণে কালো রং দিয়ে স্মাঞ্জ করে নিন। অথবা স্মোকি আই করতে পারেন। চোখে মোটা করে কাজল পরুন। মাশকারা পরুন কয়েক পরত করে। তাহলে ঘন লাগবে পাপড়ি । আপনি চাইলে বাজারের রেডি মাশকারাও ব্যবহার করতে পারেন। ব্লাশন পরুন গাঢ় করে।
ঠোঁটে গাঢ় রঙ এর লিপস্টিক, কপালে শাড়ীর রঙের সঙ্গে মিলিয়ে বা বড় লাল টিপ, বিবাহিতরা সিঁথিতে সিঁদুর এর সঙ্গে ভারি গয়না পরে পারফিউম ব্যবহার করুন, আভিজাত্য ফুটে উঠবে।
শাড়ির সঙ্গে চুলের সাজ হতে পারে ব্লো আইরন, কারলিং, স্পাইরাল রিং, রিং বান, ফ্রেঞ্চ বেণী অথবা খোপা। নিজের পছন্দসই চুলের স্টাইল বেছে নিন।