গর্ভবতী মায়ের খাদ্যাভ্যাস

গর্ভাবস্থায় কিংবা সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলে- প্রচলিত ধারনা হল দুজনের হিসাব করে খাওয়া। তবে এই বাড়তি খাওয়ার ফলে যে বাড়তি ওজন শরীর ধারণ করে তা ঝেড়ে ফেলা যে কতটা দুঃসাধ্য সে হিসেবটা আর করা হয় না।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Sept 2017, 05:18 AM
Updated : 17 Sept 2017, 05:18 AM

ভারতীয় পুষ্টিবিদ রুজুতা দেভাকর, তার ‘প্রেগনেন্সি নোটস’ বইতে গর্ভবতী মায়েদের জন্য তুলে ধরেছেন ত্রৈমাসিক খাদ্যাভ্যাস এবং তাদেরকে স্বাস্থ্য সচেতন হতে উৎসাহিত করেছেন।

এই পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী গর্ভবতী মায়েদের জন্য কিছু করণীয় বিষয় তুলে ধরেছে স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইট।

নারিকেল তেল ও তিল: গর্ভাবস্থায় চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয় অনেকের, যা সন্তান প্রসবের পরও চলতে থাকে। এক্ষেত্রে প্রতিদিন খাবার তৈরিতে নারিকেল তেল যোগ করলে উপকার মিলবে।

নারিকেলের নাড়ু বা হালুয়া খাওয়াও চুল পড়া রোধ করে। চুল ধুসর হওয়া থেকেও রক্ষা করে। তিল দিয়ে তৈরি নাড়ু, মিষ্টি কিংবা দৈনন্দিন খাবারে তিল মিশিয়ে খাওয়াও এক্ষেত্রে বেশ উপকারী।

মৌসুমি সবজি: গর্ভাবস্থায় প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর কিছু খাওয়া জরুরি। আর খাবারের তালিকায় প্রচুর সবজি থাকতে হবে। বিশেষত লাউ, ঝিঙ্গা, করলা খেতে হবে বেশি পরিমাণে।

জায়ফল: গর্ভবস্থায় রাতে ঘুমানোর আগে একগ্লাস দুধে অল্প পরিমাণে জায়ফল মিশিয়ে পান করার অভ্যাস করলে শরীর শান্ত হয়। আর ঘুমের সমস্যা দূর করে।

খিচুড়ি ও দই-চিড়া: এসময় যতটা সম্ভব সহজে তৈরি করা যায় ও হজমযোগ্য খাবার খাওয়া উচিত। খিচুড়ি, দই-চিড়া ইত্যাদি এক্ষেত্রে আদর্শ খাবার।

দুজনের খাবার নয়: গর্ভে যমজ শিশু থাকলেও আপনি মানুষটা একজনই। তবে নিজের শরীরের চাহিদাও বুঝতে হবে। তাই ক্ষুধা মিটিয়ে খান, জোর করে গলা পর্যন্ত খাওয়ার প্রয়োজন নেই।

খালি পেটে চা-কফি নয়: সকালে শরীর-খারাপ লাগা এড়াতে খালি পেটে চা-কফি পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। শরীরের পানির অভাব মেটাতে পানিই সর্বোত্তম উপায়। পানি ছাড়া লেবু পানিতে বিট লবণ কিংবা বাটারমিল্ক মিশিয়ে পান করতে পারেন।

ছবি: রয়টার্স।