আর নিজে বা পয়সা খরচের ভয়ে কম দামে অনভিজ্ঞ কারও কাছ থেকে রং করান তাহলে চুলে নানান ক্ষতি হতে পারে।
তাই চুল রং করাতে যেসব দিক খেয়াল রাখা প্রয়োজন সেগুলো সাজসজ্জাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট অবলম্বনে এখানে দেওয়া হল।
চেহারার সঙ্গে মানিয়ে চুলের রং: চুলে সঠিকভাবে রং করা না হলে দেখতে বেখাপ্পা লাগতে পারে। তাই মুখের আকৃতি, চুলের ধরন, দৈর্ঘ্য ইত্যাদির সঙ্গে মানিয়ে চুলে রং করার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ কারও পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সঠিক মিশ্রণ: হাল ফ্যাশনে চুলে একাধিক রং ব্যবহারের চল রয়েছে। তাছাড়া চুলের স্বাভাবিক রংয়ের সঙ্গেও নতুন রং ভালোভাবে মিশিয়ে করার ক্ষেত্রে বেশ দক্ষতা প্রয়োজন, যা আনাড়ী হাতে করা সম্ভব নয়।
সঠিক রং বাছাই: বাদামি, সোনালি, তামাটে বা লালচে’র সীমারেখা পেরিয়ে বর্তমানে নানান ধরনের রং ব্যবহারের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তাছাড়া পুরো চুল একটি রংয়ে রাঙিয়ে তার মধ্যে ভিন্ন রংয়ের স্ট্রিক্সও করা হয় এখন। তাই কার সঙ্গে কোন ধরনের শেইড’য়ের মিশ্রণ মানিয়ে যাবে তার পরামর্শ একজন অভিজ্ঞ স্টাইলিস্টই দিতে পারবেন।
রং ব্যবহার: শুধু চুলে রং লাগিয়ে তা ফয়েল পেপারে মুড়িয়ে দিলেই চলবে না। সঠিক চুলে তা ব্যবহার করা হল কিনা, ফয়েল পেপার সঠিক উপায়ে মোড়ানো যেন রং ছড়িয়ে না যায় বা অন্য চুলে না লেগে যায়, রং এবং এর আনুষাঙ্গিক রাসায়নিকগুলোর সঠিক মিশ্রণ ইত্যাদি ছোটখাট বিষয় নিশ্চিত করার করার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা বেশ জরুরি।
ত্বকের সঙ্গে মানিয়ে রং বাছাই
সব ধরনের রং সবার ত্বকের সঙ্গে মানিয়ে যায় না। তাই কোন ধরনের ত্বকে কেমন চুলের রং ভালো লাগবে তা বুঝার ক্ষেত্রে স্টাইলিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
বয়স্ক দেখাতে না চাইলে নিজের চুলের কাছাকাছি শেইড বেছে নিন। যাদের গায়ের রং ফর্সা তাদের কখনও পুরো চুলে গাঢ় কোনো শেইডের রং করানো উচিত নয়। ত্বকের বর্ণ যাদের একটু গাঢ় তারা চুলে একরং এড়িয়ে বাদামি রংয়ের বিভিন্ন ‘শেইড’ বেছে নিতে পারেন।
ছবি: রয়টার্স।