যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ উইসকনসিন-ম্যাডিসন’য়ের অধ্যাপক এবং গবেষক ইভান পোলম্যান বলেন, “কারও জন্য উপহার কেনার সময় যদি দ্বিধায় ভোগেন যে তার পছন্দ হবে কিনা তাহলে এমন কিছু বেছে নিন যা নিজের পছন্দ। এরপর ওটাই কিনুন উপহার দেওয়ার জন্য।”
‘পার্সোনালিটি অ্যান্ড সোশাল সাইকোলজি বুলেটিন’ নামক জার্নালে এই বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, ‘যাকে উপহার দেওয়া হবে তার জন্য যা বেছে নেওয়া হবে তা যদি নিজের জন্যও কেনা হয় তাহলে সে বেশি খুশি হবে।’
গবেষকরা এই পদ্ধতির নাম দিয়েছেন ‘কম্পানিওনাইজিং’।
পলম্যান বলেন, “যাকে উপহার দেওয়া হবে তার সঙ্গে নিজের জন্যও যদি একই উপহার কেনা হয় তাহলে তার সেটি বেশি ভালো লাগবে। ফলে উপহারদাতার সঙ্গে তার ঘনিষ্টতা বৃদ্ধি পাবে।”
কতটা পছন্দনীয়, চিন্তা করে কেনা যায়- এরকম উপহারের তালিকা করে প্রায় একশরও বেশি অংশগ্রহণকারীকে প্রশ্ন করা হয়। সঙ্গে কার্ডের মধ্যে লেখা- ‘আশা করি উপহারটা তোমার পছন্দ হয়েছে, আমিও এরকম একটা নিয়েছি’ এই বার্তা কতটা কার্যকর তাও পর্যবেক্ষণ করা হয়।
দেখা গেছে, উপহারদাতার বাসায় আছে এরকম জিনিস যেমন- স্ট্যাপলার, ছাতা, মোজা এবং হেডফোনস পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকছে।
আগে ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মধ্যে একই ধরনের ব্রেসলেট, চেইন, পেনডেন্ট ইত্যাদি কেনার বিষয় ছিল। তবে একই ধরনের উপহার নিজের এবং প্রিয় মানুষটির জন্য কেনার প্রয়োজন নেই, অল্প ঘনিষ্ঠদের ক্ষেত্রেও এটি সমান উপযোগী।
ছবি: রয়টার্স।