গৃহিণীপনার ফাঁকে ভালো রাখুন নিজেকে

অনেক গৃহিণী আছেন যারা কর্মজীবি নন। বাসায় থেকে সংসার আর সন্তান সামলে দিন কেটে যায়। একেকজন গৃহিণী যেন এককজন ব্যবস্থাপক। আর সংসারটা তার প্রতিষ্ঠান। তাদের কাজগুলো মোটেও অবহেলার নয়। আর এসব কাজের ফাঁকেও নিজেকে চৌকস গৃহিণী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা যায়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 August 2017, 10:28 AM
Updated : 22 August 2017, 10:35 AM

একজন গৃহিণীকে ঘরের সবার ভালো মন্দের দিকে নজর দিতে হয়। সংসার চালাতে আর্থিক পরিকল্পনা করতে হয়, সন্তানের শিক্ষিকার দায়িত্ব পালন করতে হয়। আর রান্নাতো আছেই।

মোটকথা ঘরের সব কাজের ভারই থাকে গৃহকর্তীর উপর। আর এই দায়িত্ব পালনে কোনো ছুটি নেই। তাই মাঝে মধ্যে মেজাজ বিগড়ে যাওয়াও খুব স্বাভাবিক।

জীবনযাপন-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের উপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে ঘরোয়া-গৃহিণীদের নিয়ম মাফিক জীবনকে সহজ ও আনন্দময় করে তোলার পন্থা এখানে দেওয়া হল।

রুটিন মেনে চলুন: একাই যখন ঘরের সব কাজ সামলে চলতে হয় তখন বাঁধাধরা কোনো রুটিন মেনে চলা হয় না। এক্ষেত্রে ঘরের কাজ, নিজের খাওয়ার সময় বা নিজের জন্য আলাদা করে রাখা কিছু বাড়তি সময় সবই নিয়মের বাইরে চলে যায়।

তাই দিনের কাজগুলো একটি ছকে ফেলে করা উচিতG এতে সব কাজ সময় মতো শেষ করা সম্ভব হবে। আর নিজের জন্য সময়ও বের করা যাবে। পাশাপাশি নিয়ম মেনে চললে আপনার সন্তানও সেটা শিখবে।

বিরতি নিন: একটানা একই কাজ করলে বিরক্তি আসতেই পারে। তাই নিজের জন্য কিছু সময় রাখুন। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করুন, ঘুরতে যান অথবা পার্লারে গিয়ে নিজের যত্ন নিন। এতে মন ভালো থাকবে এবং সব দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করতে পারবেন।

নতুন কিছু শিখুন: ঘরে থাকা মানে শুধুই সংসার ও সন্তানের দেখাশুনা করা নয়, নিজেকে ভালোভাবে গড়ে তুলতে নতুন কিছু শিখুন। সেলাই, রান্না, লেখালেখি বা হাতের কাজ ইত্যাদির প্রশিক্ষণ নিন। ঘরের সামনে, বারান্দায় বা ছাদে জায়গা থাকলে বাগান করুন। এতে একঘেয়েমিভাব দূর হবে।

সন্তানের সঙ্গে সময় কাটান: শিশুর সঙ্গে খেলা, তাকে নিয়ে পার্কে হাঁটতে যাওয়া বা এমন টুকিটাকি বিষয় মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই সবসময় সন্তানের পেছনে খাওয়া বা পড়তে বসার কথা না বলে তার সঙ্গে ভালো সময় কাটান। এতে তার সঙ্গে সম্পর্কও মধুর হয়ে উঠবে।

নিজেকে মূল্য দিন: গৃহিণীরা বেশিরভাগ সময়ই সংসার ও সন্তানের কথা ভাবতে গিয়ে ‍নিজের খেয়াল নিতে ভুলে যান। অনেক সময়ই এমন মায়েরা কর্মজীবি মায়েদের সঙ্গে নিজের তুলনা করেন। এক্ষেত্রে মনে রাখবেন, আপনি নিজে আপনার সন্তানকে বড় করছেন তার সঙ্গে আপনার সম্পর্ক বেশি কাছের। তাই যে জীবন আপনি বেছে নিয়েছেন তা উপভোগ করতে শিখুন।

ছবির মডেল: বৈশাখি ও অহনা। ছবি: অপূর্ব খন্দকার।