কিকো মিলানো ইন্ডিয়া’র ‘কান্ট্রি হেড’ অনন্যা সাবারওয়াল এবং ‘অরিফ্লেইম ইন্ডিয়া’র রূপবিশেষজ্ঞ আকৃতি কোচার ন্যুড মেইকআপের ক্ষেত্রে লক্ষণীয় কিছু বিষয় খেয়াল রাখার পরামর্শ দেন।
* স্বাভাবিক মেইকআপের ক্ষেত্রে চোখের পাপড়িতে মাস্কারা বুলিয়ে নিন। চোখের পাপড়ি ঘন দেখাতে উপরের ওয়াটার লাইনে কালো কাজল লাগিয়ে নিন। ন্যুড মেইকআপের ক্ষেত্রে চোখের ভাঁজের অংশে ব্রোঞ্জার বা কন্টুয়ার শেইড বুলিয়ে বাকি চোখে হালকা হাইলাইটার বুলিয়ে নিন।
* ন্যুড মেইকআপের ক্ষেত্রে হাইলাইটার ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। খেয়াল রাখুন দেখতে যেন বাড়াবাড়ি মনে না হয়। শুধু ত্বকের যে অংশগুলোতে আলো এসে পড়ে যেমন— গালের উঁচু অংশে, নাকের উপর এবং কপালে অল্প পরিমাণে হাইলাইটার বুলিয়ে নিন। এমন রং বেছে নিন যা ত্বকের রংয়ের সঙ্গে মানানসই, বেশি হালকা হাইলাইটার এড়িয়ে চলুন।
* ন্যুড মেইকআপের মূলমন্ত্র হল হালকা রং। তবে ঠোঁট স্পষ্ট করে তুলতে ব্যবহার করতে পারেন গাঢ় বা হালকা গোলাপি লিপস্টিক। তারপর ব্যবহার করুন ‘ট্রান্সপারেন্ট গ্লস’। ফলে মেইকআপে নিয়ে আসবে জাদুকরি প্রভাব।
- চাইলে হালকা রংয়ের একটি লিপস্টিক ব্যবহার করেই ন্যুড মেইকআপ সম্পন্ন করা সম্ভব। অল্প করে লিপস্টিক চোখের পাতায় বুলিয়ে নিন। এরপর আঙুলের সাহায্যে গালে ব্লাশ লাগানোর জায়গায় হালকাভাবে লিপস্টিক বুলিয়ে নিন। এক্ষেত্রে হালকাভাবে চেপে চেপে বসিয়ে নিন বেশি ঘষাঘষি করবেন না। ঠোঁটে ভালোভাবে লিপস্টিক লাগান। চোখ আরও ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে মাস্কারা ও কাজল লাগিয়ে নিন। ভ্রুও সুন্দরভাবে এঁকে নিন। এই সহজ ধাপেই হয়ে যাবে ন্যুড মেইকআপ।
* ন্যুড মেইকআপের ক্ষেত্রে রং বাছাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একই ঘরানার বিভিন্ন শেইড বেছে নিন।
* বেইজ মেইকআপের ক্ষেত্রে ত্বকের রংয়ের সঙ্গে মানানসই ফাউন্ডেশন বা টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। খেয়াল রাখুন বেইজ যেন ভালোভাবে মিশে যায়। এরপর পাউডার দিয়ে সেট করে নিতে ভুললে চলবে না।
ছবি: রয়টার্স।