হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে একমুঠ কাঠবাদাম

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, কাঠবাদাম শুধু ‘ভালো কোলেস্টেরল’য়ের মাত্রাই বাড়ায় না, পাশাপাশি ‘খারাপ কোলেস্টেরল’ দূর করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

লাইফস্টাইল ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 August 2017, 10:58 AM
Updated : 14 August 2017, 10:58 AM

চিকিৎসা-বিজ্ঞানে ‘ভালো কোলেস্টেরল’কে বলা হয়- ‘হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন বা এইচডিএল কোলেস্টেরল’। আর ‘খারাপ কোলেস্টেরল’কে বলা হয় ‘লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন বা এলডিএল কোলেস্টের’।

ধমনীসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে কোলেস্টেরল সংগ্রহ করে শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে কাঠবাদাম। আর এই কাজটা করে ’এলডিএল কোলেস্টেরল’য়ের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে।

পেনসালভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি’র অধ্যাপক পেনি ক্রিস-ইথারটন বলেন, “এইচডিএল যখন রক্তপ্রবাহে ছাড়া পায় তখন খুবই ছোট আকারে থাকে। তারপর যকৃতে গিয়ে জমা হয়ে ভেঙে পড়ার আগে কোষ ও ত্বক থেকে কোলেস্টেরল সংগ্রহ করতে করতে বড় হতে থাকে, এবং এর আকার হয় গোলাকার।”

কী পরিমাণ কোলেস্টেরল সংগ্রহ করতে পারে সেটার উপর ভিত্তি করে এইচডিএল কোলেস্টেরল পাঁচটি ‘সাবপপুলেশন’য়ে ভাগ করা হয়। যেগুলোর আকার অনুসারে ছোট থেকে বড় হিসেবে সাজানো। সব থেকে ছোট পরিমাপ ‘প্রি-বেটা-ওয়ান’ এবং সব থেকে বড় হচ্ছে ‘এ-ওয়ান’।

‘নিউট্রিশন’ জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণাপত্রে জানানো হয়, পর্যবেক্ষণের জন্য জন্য ছয় সপ্তাহ ধরে দুটি গবেষণা চালানো হয়। একদল মানুষকে প্রতিদিন ৪৩ গ্রাম অর্থাৎ প্রায় একমুঠ কাঠবাদাম খেতে দেওয়া হয়। আরেক দলকে দেওয়া হয় কলা দিয়ে তৈরি মাফিন।

ফলাফলে দেখা গেছে, কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে ‘এ-ওয়ান এইচডিএল’ বেড়েছে ১৯ শতাংশ। পাশাপাশি এইচডিএল’য়ের কার্যকারিতা বাড়িয়েছে ৬.৪ শতাংশ। অর্থাৎ সার্বিকভাবে হৃদসংক্রান্ত রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমিয়েছে।

গবেষকরা আরও বলেন, “হৃদসংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি পুরোপুরি নির্মূল করতে না পরলেও, নাস্তা হিসেবে কাঠবাদাম হতে পারে সঠিক পছন্দ। কারণ এই বাদাম ভালো চর্বি, ভিটামিন ই এবং আঁশের ভালো উৎস।”

ক্রিস-ইথারটন আরও বলেন, “কাঠবাদাম কোনো প্রতিষেধক নয়। তবে পরিমাণ মতো গ্রহণ, বিশেষ করে অল্প পুষ্টিকর খাবারের পরিবর্তে খাওয়ার জন্য এই বাদামকে স্বাস্থ্যকর খাবার বলা হয়।”