চোখের রোগগুলোর মধ্যে সবচাইতে প্রচলিত রোগ ‘ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি’। রক্তে শর্করার পরিমাণে তারতম্যের কারণে রেটিনা বা অক্ষিপটের রক্তনালীতে পরিবর্তন আসলে এই রোগ হয়।
বহুদিন থেকে ডায়বেটিসে আক্রান্তদের যেসব সমস্যা হয় তাদের মধ্যে এটি অন্যতম। ২০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে ডায়বেটিসে ভুগছেন এমন রোগীদের প্রায় ৮০ শতাংশ এই রোগে আক্রান্ত হন।
গবেষণা বলছে, একজন ব্যক্তির শরীরে টাইপ টু ডায়বেটিস যত কম বয়সে বাসা বাঁধবে, চোখের সমস্যা ততই দ্রুত এবং জটিল হবে।
গবেষকরা বলেন, “তবে অল্প বয়সে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির প্রাদূর্ভাবের সম্পর্কটা শুধুই ডায়বেটিসে কতদিন ধরে আক্রান্ত তার উপর নির্ভরশীল নয়।”
প্রধান গবেষক, মাদ্রাজ ডায়াবেটিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের মুথুসোয়ামি বালাসুব্রামনিয়াম বলেন, “আমাদের সন্দেহ ছিল যে, তরুণ ডায়বেটিস রোগীদের ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি বেশি হওয়ার পেছনে হয়ত তাদের ডায়বেটিসের রোগের বিশেষ কোনো বৈশিষ্ট্য দায়ি।”
“পরে দেখা যায়, ডায়বেটিসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে থাকা নির্দিষ্ট কিছু জৈব উপাদান যেমন ‘মোনোসাইট কেমোট্যাকটিক প্রোটিন ওয়ান (এমসিপি-ওয়ান)’ এবং ‘ক্যাথিপ্সিন-ডি’ বেশি পরিমাণে থাকায় ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির ঝুঁকি বাড়ায়।”
‘জার্নাল অফ ডায়বেটিস অ্যান্ড ইট’স কমপ্লিকেইশন্স’ শীর্ষক জার্নালে গবেষণাটির বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
বালাসুব্রামনিয়াম বলেন, “দেখা যাচ্ছে তরুণ ডায়বেটিস রোগীদের শরীরে ‘এমসিপি-ওয়ান ও ‘ক্যাথেপ্সিন-ডি’য়ের মাত্রা বেশি হলে, শরীরে বার্ধক্যের প্রভাবগুলো সময়ের আগেই চোখে পড়ে। ফলে ডায়বেটিক রেটিনোপ্যাথিও অল্প বয়সেই দেখা দিতে পারে।”
এই জৈব উপদানগুলোর পথ-পরিক্রমা নির্ধারণ করতে পারলে ভবিষ্যতে অল্প বয়সে ডায়বেটিক রেটিনোপ্যাথি রোধ করা সহজ হবে।
ছবি: রয়টার্স।