রূপচর্চাবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে চোখের ক্লান্তি দূর করার উপায় সম্পর্কে জানা যায়।
টেবিল-চামচ ব্যবহার: দুটি টেবিল-চামচ দুই চোখের ফোলা অংশের নিচে ধরুন। চামচের ঠাণ্ডা ভাব চোখের ফোলা ভাব কমায়। এর ব্যবহারে চোখের নির্জীবভাব দূর হয়।
কাঁচাদুধ: প্রোটিন, অ্যামিনো অ্যাসিড, ল্যাক্টিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন এ ও ডি-তে পূর্ণ। এটা চোখের ত্বকের চারপাশের ক্ষয় পূরণ করতে সাহায্য করে।
কাঁচাদুধে দুটি তুলার বল ভিজিয়ে রেফ্রিজারেইটরে রেখে ঠাণ্ডা করে ১০ থেকে ১৫ মিনিট চোখের উপরে ধরুন।
ঠাণ্ডা দুধ চোখের ফোলাভাব কমাবে এবং নিয়মিত ব্যবহারে কালো দাগ হালকা করবে।
আলুর টুকরা: আলুর প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে।
কয়েক টুকরা আলু কুচি করে নিন এবং ঠাণ্ডা করার জন্য রেফ্রিজারেইটরে রাখুন। এরপর কয়েক মিনিটের জন্য চোখের উপরে ধরুন।
নিয়মিত ব্যবহারে চোখের কালো দাগ দূর হবে।
কাঠবাদামের তেল: এটা ভালো ময়েশ্চারাইরাজার এবং উন্নত ভিটামিন ‘কে’ সমৃদ্ধ। যা চোখের চারপাশের ত্বক ভালো রাখে। এছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লামাটরি উপাদান যা চোখের ফোলাভাব কমায়। খাঁটি কাঠবাদাম তেল আলতোভাবে চোখের নিচে মালিশ করার মাধ্যমে ত্বক ভালো থাকে এবং এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের উজ্জ্বলতা রক্ষা করে।
টি ব্যাগ: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রাকৃতিক ট্যানিন চোখের নিচের ফোলাভাব কমায়। গরম পানিতে দুটি টি-ব্যাগ ডুবিয়ে অপেক্ষা করুন। তারপর রেফ্রিজারেইটরে রাখুন।
ঠাণ্ডা টি ব্যাগ দুচোখের উপরে রেখে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করুন। এতে চোখের ফোলাভাব কমবে ও সজীব অনুভূত হবে।
বরফের টুকরা: চোখের নিচের ফোলাভাব কমাতে বরফ খুব ভালো কাজ করে। একটি বরফের টুকরা সুতির কাপড়ে পেঁচিয়ে চোখের চারপাশে ধরুন। দিনে দুতিন-বার এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
তবে খেয়াল রাখবেন প্রতিবারের স্থায়িত্ব যেন এক থেকে দুই মিনিটের বেশি না হয়।