মানসিক চাপ কমাতে ভিডিও গেইম

কাজের ফাঁকে লুকিয়ে ‘ভিডিও গেইমস’ খেলছেন! দরকার নেই আর লুকিয়ে খেলার! কারণ সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে কাজের ফাঁকে কিছুক্ষণের জন্য গেইমস’য়ে মগ্ন হলে পরে কাজে মনোযোগ বেশি দেওয়া যায়।

লাইফস্টাইল ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 August 2017, 08:58 AM
Updated : 1 August 2017, 08:58 AM

অফিসে দীর্ঘসময় কাজ করতে গিয়ে মানসিক চাপ, হতাশা, অস্থিরতা ঘিরে ধরাটাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে গবেষকরা বলছেন ভিডিও গেইমস খেলতে।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, কাজের ফাঁকে একটু জিরান, হাঁটাহাঁটি, গল্প ইত্যাদি প্রচলিত বিনোদন মাধ্যম বাদ দিয়ে যারা কিছুক্ষণ ভিডিও গেইমস খেলেছেন, তারা কাজে হয়েছেন তুলনামূলক বেশি মনোযোগী ও কার্যকর।

ভিডিও গেইম খেলার মাধ্যমে কর্মীরা তাদের সবটুকু দক্ষতা কাজে প্রয়োগ করতে পেরেছেন। ফলে, ভিডিও গেইম খেলা কাজে মনোযোগ ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কাজের বিরতিতে যারা নিরিবিলি ঘরে বসে বিশ্রাম নিয়েছে, বিশ্রাম শেষেও তারা কাজে পুরোপুরি মনোনিবেশ করতে পারেননি, ফলে দুশ্চিন্তায় ভুগেছেন। অপরদিকে নিয়ন্ত্রিত বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন তাদের মধ্যে কাজের চাপের ক্ষতিকর প্রভাব ও দুশ্চিন্তা কমতে দেখা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার পিএইচডি’র ছাত্র মাইকেল রুপ বলেন, “কম সময়ে বেশি কাজ শেষ করার উদ্দেশ্যে মনের উপর জোর করে কাজ করার প্রবণতা আছে অনেকেরই। এতে কাজটা ততটা কার্যকর হয় না যতটা কার্যকর একটু বিরতি নিয়ে চাঙা মন-মেজাজে হওয়া সম্ভব। তাই কর্মজীবিদের উচিত হবে অফিসের কাজের ফাঁকে এমন কিছু করা যা আপনি পছন্দ করেন এবং যাতে প্রকৃত অর্থেই কিছু করা হয়। যেমন- ভিডিও গেইম খেলা।”

‘হিউম্যান ফ্যাক্টরস: দ্য জার্নাল অফ হিউম্যান ফ্যাক্টরস অ্যান্ড এর্গোনমিকস সোসাইটি’ নামক জার্নালে গবেষণাটি বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। বিমান ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, ডাক্তারি, বহুতল ভবন নির্মাণ ইত্যাদি বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কর্মক্ষেত্রে এই গবেষণার ফলাফল কাজে আসতে পারে বলে মনে করেন গবেষকরা।

গবেষণার জন্য রুপ ও তার দল ৬৬ জন অংশগ্রহণকারীকে কম্পিউটার ভিত্তিক কাজ করতে দেন। পরে তাদের পাঁচ মিনিটের বিরতি দেওয়া হয়।

এই বিরতিতে অংশগ্রহণকারীদের কেউ কেউ ‘সুশি ক্যাট’ ভিডিও গেইম খেলেন, কেউ নিয়ন্ত্রিত বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নেন। কেউ মোবাইল বা কম্পিউটার নেই এমন একটি নিরিবিলি ঘরে বসে বিশ্রাম নেন।

গবেষণা চলাকালে বিভিন্ন সময়ে অংশগ্রহণকারীদের মনোভাব, মানসিক চাপের মাত্রা ইত্যাদি পরিমাপ করেন গবেষকরা।

ছবি: রয়টার্স।