কুকুর পালতে চাইলে

হুট করে ঘরে কোনো প্রাণী নিয়ে আসলে নানারকম সমস্যা হতে পারে। আর কুকুর পালার ক্ষেত্রে সেই সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তাই নিশ্চিত হন, আসলেই প্রাণীটির দায়িত্ব নিতে পারবেন কিনা!

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 July 2017, 11:54 AM
Updated : 17 July 2017, 11:54 AM

আমাদের দেশে কুকুর পোষা প্রাণী হিসেবে বেশ পরিচিত হলেও শহুরে এলাকায় এর সংখ্যা কম। তবে দিন দিন অনেকেই ঘরের সদস্য হিসেবে কুকুর বেছে নিচ্ছেন। তবে একটি কুকুরকে ঘরে নিয়ে এলেই শেষ নয়। সঠিকভাবে তার পরিচর্যা করতে হয়।

পোষাপ্রাণী-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে কুকুর পোষার আগে কী কী পূর্ব-প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, সে বিষয়ে জানানো হয়।

- ঘরে কুকুর আনার আগে পরিবারের সবার মতামত নিন। কারও আপত্তি আছে কিনা বা কুকুরের কারণে কারও কোনো ধরনের অ্যালার্জির সমস্যা আছে কিনা- এই সব বিষয়ে জেনে নিতে হবে। পাশাপাশি বাড়িওয়ালা এবং প্রতিবেশীদের মতামতও জেনে নেওয়া জরুরি।

- পোষা প্রাণীর যত্ন নেওয়ার মতো পর্যাপ্ত সময় আছে কিনা সেই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। একটি ছোট শিশুর মতোই একটি কুকুরের যত্ন নেওয়া জরুরি। তাকে সময় দিতে হয় এবং প্রশিক্ষণ দিতে হয়। এর জন্য যে আলাদা সময় দরকার তা করতে পারবেন কিনা সেই বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে।

- নতুন একটি ছোট কুকুরকে ঘরে আনতে চাইলে তাকে গোড়া থেকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তাই এই সময়ে ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে এবং কুকুরটির পিছনে বেশ কিছুটা সময় ব্যয় করতে হবে। এসব ব্যাপারে ধৈর্য আছে কিনা সেই বিষয়ও খেয়াল রাখতে হবে। না হলে বড় কুকুর বেছে নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

- প্রতিটি কুকুরই দিনের কিছুটা সময় বাইরে খেলাধুলা ও হাঁটাতে নিয়ে যেতে হয়। আকার অনুযায়ী আধা ঘণ্টা থেকে দিনে সম্ভব হলে দু’বার এদের খেলার সময় দিতে হয়। এই সময়ও দিতে পারবেন কিনা তা বুঝে নিতে হবে।

- ঘর এবং আশপাশের পরিবেশ কুকুরটির জন্য উপযোগী কিনা, সেটা খেয়াল করুন। বড় আকারের কুকুরের জন্য প্রচুর জায়গা প্রয়োজন। তাই অ্যাপার্টমেন্টে পালার জন্য ছোট আকারের কুকুর বেছে নেওয়াই ভালো।

- একটি কুকুর পালা অনেক ক্ষেত্রেই বেশ ব্যবহুল। এর জন্য বিশেষ খাবার, খেলনা, ভ্যাক্সিন এবং ডাক্তার দেখানো সব কিছুই বেশ খরচ সাপেক্ষ। তাই এই ব্যয় বহন করতে আপনি সক্ষম কিনা সেগুলোও চিন্তা করতে হবে আগেই।

- কুকুর ঘরে আনার আগেই এর জন্য আলাদা খাবার, খাবার খাওয়ার পাত্র, আলাদা জায়গা ইত্যাদি ঠিক করে রাখতে হবে।

- কুকুর না বুঝেই সব কিছু মুখে দেয়। তাই ক্ষতিকর জিনিস কুকুরের নাগালের বাইরে রাখতে হবে।

- ঠিক মতো প্রশিক্ষণ না দিলে কুকুর যেখানে সেখানে ‘বাথরুম’ করতে পারে। এছাড়া কুকুর অনেক ক্ষেত্রেই চিবিয়ে জিনিস নষ্ট করে। এসব দুর্ঘটনার জন্য আগে থেকেই মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখা দরকার।

- কাজের কারণে যদি দুএকদিন ঘর থেকে দূরে থাকতে হয় তাহলে আপনার কুকুর কোথায় থাকবে সেই ব্যবস্থাও আগে করে নিতে হবে। কারণ কুকুরটিতে তো আর একা ঘরে রেখে যাওয়া যাবে না।

- সময় করে কুকুরের ভ্যাক্সিন দেওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। দিনে একবার এদের দাঁত মাজাতে হবে এবং মাসে একবার নখ কেটে দিতে হবে। যতটা জলদি সম্ভব কুকুরের ‘নিউটার’ বন্ধ্যা করানোর ব্যবস্থাও নিতে হবে।

ছবি: রয়টার্স।