উপকারী প্রক্রিয়াজাত খাবার

প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলাই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে অসংখ্য ক্ষতিকর প্রক্রিয়াজাত খাবারের মাঝে কিছু আছে যা শরীরের জন্য উপকারী।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 July 2017, 08:22 AM
Updated : 11 July 2017, 08:26 AM

তাই সময়ের অভাবে যারা স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মানতে পারছেন না তাদের জন্য এমন কয়েকটি প্রক্রিয়াজাত খাবারের উপকারিতা সম্পর্কে জানিয়েছে খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক এক ওয়েবসাইট। 

হিমায়িত সবজি: ডিপ ফ্রিজে রেখে বরফে পরিণত করা টাটকা সবজির পুষ্টিগুণ ঠিক থাকে। টাটকা থাকতেই বরফে জমাট বাঁধানোর কারণে পুষ্টিগুণ কমে যায় না।  

গাঁজানো খাবার: প্রাচীন এই পদ্ধতিতে সংরক্ষিত খাবার পুষ্টিগুণ ধরে রাখে দীর্ঘদিন। সেই সঙ্গে মেলে উপকারী ব্যাকটেরিয়া।

দই: প্যাকেটজাত দইয়ে মেলে খনিজ ও প্রোবায়োটিক উপাদান। তাই এটা ঘরে বানানো দইয়ের চাইতে বেশি উপকারী। তবে ‘ফ্লেইভার’ বা আলাদা স্বাদযুক্ত দই বাদ দিতে হবে। আর প্যাকেটের গায়ের ‘নিউট্রিশন ফ্যাক্ট’য়ের তালিকায় দেখতে হবে চিনি যাতে ১২ গ্রামের কম থাকে।

টমেটো সস: তাজা টমেটো দিয়ে ঘরে তৈরি সসের উপকারিতা আছে। তবে বোতলজাত সস খাওয়া যেমন সুবিধাজনক তেমনি বেশি স্বাস্থ্যকর। বাজারে বিক্রি হওয়া টমেটো সসে ক্যান্সার প্রতিরোধক উপাদান ‘লাইকো্পেন’ তাজা টমেটোর চাইতে বেশি পারিমাণে পাওয়া যায়। তবে খনিজ চিনি ও সোডিয়াম কম আছে এমন সস কিনতে হবে। 

মিষ্টি ছাড়া দুধ: প্যাকেট কিংবা বোতলজাত দুধ তাজা দুধের চাইতে বেশি দিন যাতে সংরক্ষণ করা যায়, সেভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। পাশাপশি গোয়ালার সরবরাহ করা দুধের চাইতে প্যাকেটজাত দুধ বেশি পরিষ্কার। আর পাওয়াও যায় পছন্দমতো। যেমন- ননিযুক্ত, ননিমুক্ত, পাস্তুরিত ইত্যাদি।

ওটস: সকালের নাস্তায় এক বাটি ওটস শরীরে আঁশ ও পুষ্টি যোগাতে অতুলনীয়। তবে ঘরে রাখতে হবে আলাদা স্বাদ মুক্ত ওটস। বাড়তি স্বাদ আনতে পছন্দ মতো ফল যোগ করতে পারেন।

হোল গ্রেইন আদা-ময়দা: শহুরে জীবনে নিজের জন্য কারখানা থেকে আটা ময়দা তৈরি করে আনা বেশ ঝামেলার কাজ। তাই প্যাকেটজাত আটা ময়দাই ভরসা। তবে এক্ষেত্রেও কৃত্রিম ‘ফ্লেইভার’ মুক্ত কিনা দেখে নিতে হবে।

পপকর্ন: বেশিরভাগ প্যাকেটজাত পপকর্নে তিনটি উপাদান থাকে। তা হল লবণ, তেল এবং খই। এটা তৈরি করা সহজ এবং চিপস, কুকিজের চাইতে স্বাস্থ্যকর।

ছবি: রয়টার্স।