এসেনশল অয়েল গাছের বিভিন্ন অংশ থেকে তৈরি করা হয়। যেমন- গোলাপের পাপড়ি, ইউক্যালিপ্টাসের পাতা, ঘাসের শিকড়, দারুচিনির স্টিক, চন্দন কাঠ, লেবুর খোসা, ল্যাভেন্ডার ফুল, ইত্যাদি।
এই তেল সরাসরি ব্যবহার করা যায় না। তাই ভারতের ‘সোলফ্লাওয়ার’ ব্র্যান্ডের প্রধান পরিচালক অমিত সার্দা এবং ‘অর্গানিক হার্ভেস্ট’য়ের রূপ বিশেষজ্ঞ ও প্রধান প্রশিক্ষক সোনিয়া মাথুরের কাছ থেকে জেনে নিন এসেনশল অয়েল প্রয়োগ পদ্ধতি।
যা করবেন
- সব ধরনের এসেনশল অয়েল সবার জন্য উপযোগী নয়। তাই কেনার আগে ত্বকে অল্প লাগিয়ে দেখুন কোনো ধরনের অস্বস্তি বা জ্বালাপোড়া করছে কিনা। কিছু এসেনশল অয়েল ব্যবহারের কারণে ত্বক সূর্যের রশ্মিতে অনেক সংবেদনশীল হয়ে যায়। তাই যাদের ত্বক শুষ্ক ও সংবেদনশীল তাদের উচিত আগে পরীক্ষা করে তারপর ব্যবহার করা।
- প্রাকৃতিকভাবে তৈরি এসেনশল অয়েল ব্যবহার করা উচিত। কারণ কৃত্রিমভাবে প্রস্তুত তেলে রাসায়নিক উপাদান মেশানো থাকে যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
- সরাসরি এসেনশল অয়েল ত্বকে বা চুলে ব্যবহার করা উচিত না। অন্য তেলের সঙ্গে মিশিয়ে এরপর ব্যবহার করা উচিত। এসেনশল অয়েল বেশ ঘন হয়। তাই নারিকেল তেল, বাদাম বা জলপাই তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। ১০ এমএল সাধারণ তেলের সঙ্গে তিন থেকে চার ফোঁটা এসেনশল অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে।
- এসেনশল অয়েল শীতল এবং অন্ধকার জায়গায় সংরক্ষণ করতে হয়। এমন জায়গায় রাখুন যেখানে সরাসরি সূর্যের তাপ পৌঁছায় না। সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা গেলে দীর্ঘদিন এই তেল ব্যবহার করা যায়।
যা করবেন না
- এসেনশল অয়েল কখনও খাওয়া উচিত নয়। এই ধরনের তেল শুধুমাত্র বাহ্যিক ব্যবহারের জন্য।
- গর্ভাবস্থায় বা চিকিৎসা চাললে এসেনশল অয়েল ব্যবহার করা উচিত নয়। এই তেল বিশেষ কিছু কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়। তাই গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে এই তেল ব্যবহারের আগে ডাক্তারের সঙ্গে আলাপ করে নেওয়া আবশ্যক।
- শরীরের সংবেদনশীল অংশে বা এর আশপাশে এসেনশল অয়েল ব্যবহার করা উচিত নয়। চোখের কাছাকাছি ত্বকে বা কানের ভিতর কখনই এই তেল ব্যবহার করা ঠিক না। তাছাড়া এই ধরনের কিছু তেল লেন্সের জন্যও অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই এসেনশল অয়েল ব্যবহারের পর হাতে লেগে থাকা অবস্থায় লেন্স ধরা ঠিক নয়।
- ত্বক বেশি সংবেদনশীল হলে সরাসরি এসেনশল অয়েল ব্যবহারের ফলে ফুস্কুড়ি হতে পারে। অন্যান্য সমস্যাও দেখা দেয়। এক্ষেত্রে ত্বকের খুব অল্প অংশে খানিকটা তেল ব্যবহার করে ২৪ ঘন্টা অপেক্ষা করুন, যদি ওই অংশে কোনো সমস্যা দেখা দেয় সেটা আপনার ত্বকের জন্য উপযোগী নয়।