আয়নায় নিজেকে দেখে কখনও কি মনে হয়ে ত্বক হয়েছে মলিন? শুধু মনের ক্লান্তিতেই নয়, দূষণ বা রোদের তাপে আর্দ্রতা হারিয়ে ত্বকও ক্লান্ত হয়ে যায়।
Published : 28 Jun 2017, 03:17 PM
তবে চিন্তার কিছু নেই। সাজসজ্জাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয় কীভাবে সজিব করবেন ক্লান্ত ত্বক।
বরফ: ত্বকের রক্তসঞ্চালন বাড়াতে বরফ ঘষুন। রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি পেলে উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পায়। তাৎক্ষনিক সতেজ ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে দুটুকরা বরফ মুখে ঘষে নিন।
মুখ মালিশ করা: এই পন্থাতেও ত্বকের রক্তসঞ্চালন বাড়ে, উজ্জ্বল ও সতেজ থাকে। নিয়মিত ত্বক মালিশ করলে বলিরেখা এবং ফোলাভাব কমে।
গোলাপ জল: এই নির্যাসের শীতলভাব নিস্তেজ ত্বককে আর্দ্র রাখে এবং সজীব করে তোলে। মুখে গোলাপ জল স্প্রে করুন। ত্বক জল শুষে নিলে আরাম ও সুবাস অনুভব করতে পারবেন। চোখের নিচের ত্বক সতেজ করতে একটি তুলার বল গোলাপ জলে ভিজিয়ে চোখের পাতার উপরে রাখুন। চোখ শীতল রাখার পাশাপাশি এটা চোখের নিচের ফোলাভাবও কমাবে।
শসা: ত্বক শীতল রাখে। পাশাপাশি প্রাকৃতিক টোনার হিসেবেও কাজ করে। একটি শসা ভালোভাবে ধুয়ে ছিলে নিন। টুকরা করে ব্লেন্ড করুন। মুখে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সতেজ অনুভব করবেন।
পুদিনা: পুদিনার শীতল উপাদান ত্বককে করে তোলে সক্রিয়। পুদিনার মাস্ক ব্যবহার করলে মুখের ক্লান্ত ভাব দূর হয়।
আলু: ত্বকের নির্জীব ভাব দূর করার পাশাপাশি ফর্সাও করে। মাঝারি মাপের একটা আলু ছিলে কুচি করে নিন। আলুকুচি সারা মুখে ও গলায় লাগান। শীতলতার জন্য দুটুকরা আলু চোখের উপর দিয়ে রাখুন। এতে ‘ডার্ক সার্কেল’ও দূর হবে।
স্ট্রবেরি: এটা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। তাই তাৎক্ষনিক-ভাবে ত্বক উজ্জ্বল করে। কয়েকটি স্ট্রবেরি পিষে মুখে লাগিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর একে এক্সফলিয়েটর হিসেবে বা স্ট্রবেরি দিয়ে মুখ ঘষে ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে ত্বক সতেজ, নরম ও কোমল হবে।
গ্রিন টি: আন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই পানীয় নিস্তেজ ও ক্লান্ত ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। এছাড়াও ফোলাভাব কমায়, টোনারের মতো কাজ করে। ত্বক আর্দ্র রাখে এবং তারুণ্য ধরে রাখতে সাহাজ্য করে।
এক কাপ গ্রিন টি বোতলে ভরে রেফ্রিজারেইটরে সংরক্ষণ করুন। সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে ত্বকে নবযৌবন আনতে এই পানীয় দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।