ঈদের দিনে বাসায় কাজ থাকে বেশি। অতিথি আসার আগে ঝটপট ঘর গোছানোর পন্থা জানিয়েছেন বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের 'সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ’ বিভাগের প্রভাষক ইফফাত জাহান।
ঈদের কয়েকদিন আগেই ঘর ঝাড়ামোছার কাজ শেষ করে রাখা উচিত। না পারলে অন্তত ঈদের আগের দিন। ঈদের দিন কোন থালা-বাসনে খাবার পরিবেশন করবেন সেটাও আগে থেকে ঠিক করে রাখুন এবং ধুছে মুছে হাতের নাগালে রাখুন।
ঈদের দিনে ঘর গোছানোর জন্য আলাদা সময় না থাকলে ঝটপট শোবার ঘর গোছানোর জন্য বিছানার চাদরের উপরে নতুন চাদর বিছিয়ে দিতে পারেন।
বসার ঘরের সোফা, চেয়ার, টেবিল ইত্যাদি ঠিকঠাক ভাবে সাজিয়ে রাখুন। সোফার পাশ বালিশের কুশন পরিবর্তন করুন।
উৎসবে অতিথির আনাগোনা বেশি হয়। ফলে ঘর ময়লাও হয় বেশি। তাই সুযোগ মতো ঝাড়ু দিয়ে নিন।
খাবার পরিবেশন করা হবে এমন পাত্র যে কোনো একপাশে সাজিয়ে রাখুন।
ঘরের পরিবেশকে স্নিগ্ধ রাখতে সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও তাজা ফুল এবং আকর্ষণীয় সামগ্রী বসার ঘর সাজানোর জন্য রাখতে পারেন।
এটা ভিন্ন ‘ইনপ্রেশন’ তৈরি করবে বলে মনে করেন ইফফাত জাহান।
ঈদের দিনে রান্না ঘরের কাজ বেশি। বার বার অনেক প্লেট, গ্লাস বাটি ইত্যাদি ধুতে হয়। এই কাজগুলো দ্রুত করার জন্য একটি পাত্রে সাবান পানি গুলিয়ে রাখুন। এতে করে দ্রুত পাত্র মেজে ধুয়ে নিতে পারবেন।
বারান্দা বা গোসলখানায় অযথা কাপড় রেখে দেবেন না। অতিথি আসার আগেই তা সরিয়ে ফেলুন। আর যদি ভেজা কাপড় থাকে তাহলে ছাদে অথবা যেদিকে গোসলখানা কম ব্যবহার হয় যেমন ‘মাস্টার বেড’ সংলগ্ন গোসল খানায় রাখতে পারেন।