নিজের পুষ্টিভাগ্য নিজেই গড়ুন

রাশিচক্রে স্বাস্থ্যের কথা বলা থাকলেও পুষ্টি নিয়ে কোনো গণনা থাকে না। তাই সারা বছরের পুষ্টিভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করতে নিজেকেই সাবধান হতে হবে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 June 2017, 08:22 AM
Updated : 22 June 2017, 08:22 AM

খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে পর্যাপ্ত পুষ্টি ও সুস্বাস্থ্য রক্ষার উপায় সম্পর্কে জানা যায়।

প্লেট পরিষ্কার করে খাওয়া:  তারমানে এই না প্লেট-গ্লাস সাবান-পানি দিয়ে ভালো মতো পরিষ্কার করতে হবে। আসলে খাওয়া শেষে বেঁচে যাওয়া খাবার শেষ করার যে অনুভূতি সেটা দূর করতে হবে। মানে ‘খাবার নষ্ট হবে’ এই চিন্তা থেকে দুএক চামচ বেঁচে যাওয়া খাবার যদি প্রতিদিনই খেয়ে শেষ করতে থাকেন তবে বছরে প্রায় চার থেকে পাঁচ কেজি ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।

প্রতিদিন এমন অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে একশ ক্যালরি যুক্ত হয়। এই বাড়তি ক্যালরি যদি খরচ করা না হয় তাহলে বছরে ৩৬ হাজার ৫শ’ ক্যালরি যুক্ত হতে পারে। ফলে প্রায় চার থেকে পাঁচ কেজি ওজন বেড়ে যায়। বাড়তি মেদ কোমরে জমে, শরীর হয় স্ফীত।

তাই খাবার যদি শেষ করতে না পারেন তাহলে জোর করে খাওয়ার কী দরকার! খাবার শেষ করতে গিয়ে  নিজের ক্ষতি করার কোনো প্রয়োজন নেই।

উদার অনুভূতি: অনেকেই 'না' বলতে পারেন না। অনেক সময় খাবার খাওয়া একটা সামাজিক চাপ হয়ে দাঁড়ায়। আবার অনেকক্ষেত্রে অন্যের অনুরোধে ‘ঢেঁকি গেলা’র মতো অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার খেতে হয়। ‘ডায়েট’য়ে থাকার সময় চারপাশের মানুষের চাপে পড়ে বা উৎসাহে অস্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে ‘না’ বলতে শিখুন। না মানে না, খাওয়ার ক্ষেত্রে শুধু ‘ঢেঁকি’ নয়, অনুরোধে কোনো কিছুই গেলা যাবে না।

নিজের ভালো আগে দেখুন: মাঝে মধ্যে স্বার্থপর হওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষম থাকতে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে, ঠিক মতো ঘুমাতে হবে। অর্থাৎ নিজের যত্ন নিতে হবে সবার আগে। অন্যের যত্ন নিতে, প্রথমে নিজেকে সুস্থ থাকতে হবে। স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক এমন সব খাবার বাদ দিন। তাহলে সুস্থ ও সুন্দর থাকতে পারবেন।

ছবি: রয়টার্স।