বর্ষাকালে খাবার ঠিক রাখতে

আষাঢ়-শ্রাবণ নিয়ে যতই প্রেম জাগুক, বৃষ্টির দিনগুলোতে খাবার রাখতে হবে সাবধানে। কারণ এই সময় বাতাসে আর্দ্রতা বাড়ে। যা জীবাণু বেড়ে ওঠার আদর্শ পরিবেশ।

লাইফস্টাইলডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 June 2017, 06:45 AM
Updated : 19 June 2017, 06:45 AM

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ঠাণ্ডা-ভেজা আবহাওয়া জীবাণু বৃদ্ধির জন্য সহায়ক। যা থেকে টাইফয়েড, ডায়রিয়া, পাকস্থলিতে প্রদাহসহ বিভিন্ন রোগ হতে পারে।

তাই খাবার সংরক্ষণ ও রান্নায় নিতে হবে বিশেষ সতর্কতা।

পরিষ্কার করা: রান্না করার ১৫ মিনিট আগে শাকসবজি গরম স্যালাইন পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এতে শাকসবজিতে থাকা অবশিষ্ট কীটনাশক দূর হয়ে যাবে।

লেটুস এবং বাঁধাকপি পরিষ্কার করতে পানিতে বরফ ব্যবহার করুন। এতে পাতায় থাকা পোকা দূর হয়ে যাবে এবং সতেজ থাকবে। 

যেসব সবজি খোসা ছাড়ানো যায় না যেমন- টমেটো, বেগুন এবং শাক সেগুলো লবণ ও পানির ধারার নিচে ধোয়া উচিত। অর্থাৎ বেসিনের কল চালিয়ে রেখে নিচে শাকসবজি ধুতে হবে।

চাইলে পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানিজের দ্রবণের সাহায্যে শাকসবজি পরিষ্কার করতে পারেন।

সংরক্ষণ: ফলমূল ও সবজি সংরক্ষণ করতে তোয়ালে দিয়ে ভালোভাবে মুছে শুকিয়ে নিন। তারপর রেফ্রিজারেইটরে সংরক্ষণ করুন। শাকপাতা তাজা রাখার জন্য জিপ লক করা ব্যাগে সংরক্ষণ করুন।

বর্ষাকালে সবজি বা ফলমূল আগে থেকে কেটে রাখা ঠিক নয়। কাটা ফলমূল দীর্ঘক্ষণ সংরক্ষণ করাও উচিত নয়।

এগুলো সঠিক তাপমাত্রায় রাখা জরুরি।

মটরশুঁটি, বেগুন, টমেটো এবং মরিচ ইত্যাদি উষ্ণ আবহাওয়ার ফসল। এগুলো ১০ ডিগ্রি তাপমাত্রার কমে রাখা উচিত।

আলুর ছত্রাক বৃদ্ধি কমানোর জন্য ঠাণ্ডা ও শুষ্ক তাপমাত্রায় রাখা উচিত। তবে রেফ্রিজারেইটরে সংরক্ষণ করা যাবে না। চার ডিগ্রি তাপমাত্রার নিচে আলু সংরক্ষণ করা হলে এর শর্করা চিনিতে রূপান্তরিত হয়।    

রান্না: এই মৌসুমে রান্নার আগে সবজি ও ফল ভালো মতো খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে।

কোনো খাবারের স্বাদ যদি ভালো না লাগে তাহলে সেটা খাওয়া বাদ দিন। ফল ও সবজি কেটে দীর্ঘক্ষণ রেখে দেবেন না।

বাদ দিতে হবে: বলা হয়ে থাকে, এই মৌসুমে যতটা সম্ভব মাছ এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ হল- মাছ পরিবহণ ও সংরক্ষণের সময় উচ্চ তাপমাত্রা ও স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার ফলে খাদ্য বস্তুতে দ্রুত পচন ধরে।

সাধারণত গভীর সমুদ্রের মাছ যেমন- টুনা, স্যামন ইত্যাদি সামদ্রিক মাছে শিল্পকারখানার বিষাক্ত পদার্থ পাওয়া যায়। কারণ বৃষ্টির পানি কলকারখানার বর্জ্য ধুয়ে নিয়ে নদীতে ও পরে সমুদ্রে গিয়ে পড়ে।

এই মৌসুমে কাটা ফল ও সবজি কেনা ও খাওয়া পরিহার করতে হবে।

খোলা জায়গা থেকে ফলের রস কিনে খাওয়া যাবে না।

সুস্থ এবং সুন্দর থাকতে টাটকা ও গরম খাবার খেতে হবে।