ঘুম থেকে ওঠার পরও ক্লান্ত!

রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে গেলেন। ভাবলেন পরদিন চাঙা অনুভব করবেন পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য। অথচ সকালে ঘুম ভাঙার পরও ক্লান্তি যেন ক্ষমা করছে না আপনাকে! তাহলে বুঝতে হবে রাতে ঘুমানোর আগের কোনো কিছু গড়মিল করছেন।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 June 2017, 05:42 AM
Updated : 19 Sept 2017, 11:08 AM

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বিভিন্ন গবেষণার ও চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জানানো হয়, পর্যাপ্ত বা আট ঘণ্টা ঘুমানোর পরও বদোভ্যাসের কারণে সকালেও অবসাদ ঘিরে ধরতে পারে।

আলোর অভাব: অনেকেই ঘুমানোর সময় জানালা আটকে বা ভারী পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখেন। যাতে বাইরের আলো ঘরে ঢুকতে না পারে। আর এ কারণে সকালের আলো ঘরে না ঢোকায় শরীর স্বাভাবিকভাবে বুঝতে পারে না কখন ঘুম থেকে উঠতে হবে। তাই এমন পর্দা ব্যবহার করুন যা আলোর তীব্রতা আটকাবে কিন্তু ঘর পুরো অন্ধকার হয়ে যাবে না।

রাত জাগা: রাত জেগে টিভি দেখা, গেইম খেলা বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় কাটানোর ফলে ঘুমের জন্য বরাদ্দ সময় অনেকটাই কমে আসে। প্রতিদিনের ক্লান্তি দূর করতে কমপক্ষে সাত ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন। তাছাড়া রাত জেগে থাকার ফলে ক্ষুধা লাগে। ফলে বাজে খাবার খাওয়ার পরিমাণও বাড়ে। তাই অভ্যাস বদলে ঠিক সময় ঘুমানো উচিত।

মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা: অফিসের কাজ হোক বা পরীক্ষা যে কোনো কারণেই মানসিক চাপ থাকতেই পারে। তবে ঘুমাতে যাওয়ার সময় পরের দিনের কাজ নিয়ে বেশি চিন্তা না করাই ভালো। এতে ঘুমের সমস্যা হয় ও সকালে সেই ক্লান্তি চেপে ধরে। মাথা থেকে দুশ্চিন্তা ঝেরে তবেই ঘুমাতে যান।

অ্যালার্ম স্নুজ করা: নির্ধারিত সময় অ্যালার্ম বন্ধ করে স্নুজ করার ফলে ওই অল্প সময়ে তন্দ্রা মতো ঘুম হয়। এই অভ্যাসের কারণে বরং ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। আর স্নুজের কারণে কিছুক্ষণ পরপর তীব্র শব্দ বরং বেশি ক্ষতিকর। তাই কিছুটা সময় পিছিয়েই অ্যালার্মের সময় ঠিক করুন এবং একবারের অ্যালার্মেই উঠে যাওয়ার চেষ্টা করুন।

কফি পান: কফি ক্লান্তি দূর করে। ফলে সহজে ঘুম আসতে চায় না। আর অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণেই সকালে ঝিমুনি কাজ করে বেশি। তাই সন্ধ্যার পর কফি বা ক্যাফেইন এড়িয়ে চলতে হবে।

ঘুমানোর সময়ের অনিশ্চয়তা: আজ রাজ ১১টায় ঘুমিয়ে গেলেন। পরের রাতে ঘুমানোর সময় গিয়ে ঠেকলো রাত দুটায়। এরপরের রাতেও একই হাল। এমন হলে শরীর নিয়মের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না। অনিয়মের কারণে শরীর উপযুক্ত বিশ্রাম পায় না। ফলে ক্লান্তি থেকেই যায়।

ঘরে বসে থাকা: ঘরকুনো হয়ে থাকলে এবং ঘুম ভাঙার পরও অনেকটা সময় গড়াগড়ি করে কাটালে ক্লান্তভাব চেপে বসতে পারে। তাই ঘরে বসে না থেকে বা অবসর সময়ে গড়াগড়ি না করে বরং বাইরে হাঁটাহাঁটি করুন বা ব্যয়াম করুন। এতে শারীরিক পরিশ্রমও হবে এবং ঘুমও ভালো হবে।

দেরিতে খাওয়া: রাতের খাবার কিছুটা জলদি খাওয়ার অভ্যাস মেদ জমতে দেয় না এবং রাতে ঘুম ভালো হতেও সাহায্য করে। ঘুমানোর ঠিক আগেই খাবার খাওয়া হলে তখনও হজম প্রক্রিয়া সচল থাকে এবং এ কারণে সহজে ঘুম আসে না। ঘুমানোর অন্তত দুতিন ঘণ্টা আগে খাবার খাওয়া উচিত। এতে ঘুম ভালো হবে এবং ক্ষুধাভাবও কাজ করবে না। ফলে রাতে আজেবাজে খাবার খাওয়ার কারণে ওজন বাড়ার ঝুঁকিও কমবে।