আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে বলা হচ্ছে, দীর্ঘক্ষণ একটানা বসে থাকলে শরীরে চর্বি জমে, হাড় ও শরীরের সংযোগস্থলে নানারকম জটিলতা দেখা দেয়। এছাড়াও হৃদরোগ ও রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধার জটিলতা দেখা দিতে পারে।
তবে দীর্ঘক্ষণ যদি বসে কাজ করতেই হয় তাহলে নিচের বিষয়গুলো অন্তত খেয়াল রাখা উচিত। নিচের পদ্ধতিগুলো সাধারণভাবে অস্থি-চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
চোখ বরাবর মনিটর: অফিসে কাজ করার সময় কম্পিউটারের মনিটর এমন ভাবে রাখুন যেন তা আপনার চোখ বরাবর হয়। কাজ করার সময় মনিটর যদি খুব বেশি উঁচু বা নিচু থাকে তাহলে তা ঘাড় ও কাঁধে ব্যথা এবং হাড়ের জোড়ে সমস্যা হতে পারে।
কাঁধ শিথিল রাখা: কাজ করার সময় কাঁধ যেন আরামে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কাজ করার সময় কাঁধ বাঁকা না করে এবং বাহু ৯০ ডিগ্রি ভাবে সোজা রাখতে হবে। এতে কাঁধ ও ঘাড়ের ব্যথা এড়ানো সম্ভব।
পিঠে ঠেস দেওয়া: পিঠের মাঝামাঝি অংশে কোনো কিছু দিয়ে ঠেস দিন। এতে পিঠ নিরাপদে থাকবে এবং পিঠ বাঁকাবে কম। ফলে পিঠ বা মেরুদণ্ডে ব্যথা হবে না। তাই চেয়ারে বসার পর পিঠ ও চেয়ারের মধ্যবর্তী অংশে বালিশ বা অন্য কিছু দিয়ে ঠেস দিয়ে নিন।
পা ভাঁজ না করা: বসে কাজ করার সময় হাতের মতো পা ৯০ ডিগ্রি ভাঁজ করে রাখুন। তা না হলে পায়ের সংযোগস্থল বা কোমড়ে চাপ পড়ে এবং রক্ত চলাচল বাঁধা পায়।
‘ডেস্ক-এক্সসেরসাইজ’ বা চেয়ারে বসে ব্যায়াম করা: প্রতি আধ ঘণ্টা পর পর গলা ঘুরিয়ে এবং সম্ভব হলে নিজ সিট থেকে উঠে হাঁটাচলা করুন। এছাড়াও হাত মাথার উপরে এবং পাশে ঘুরিয়েও ব্যায়াম করা যায়।
ছবি: রয়টার্স।