চাকরির সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কেমন পোশাক পরা উচিত সে সম্পর্কে জানিয়েছেন ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ‘ওএসএল লাক্সারি কালেকশন প্রাইভেট লিমিটেড’য়ের ব্যবসা প্রধান সালেশ গ্রোভার, অনলাইন মাল্ট ব্র্যান্ড বুটিক ‘দ্য পার্সিয়ান বুডোয়া’রের প্রতিষ্ঠাতা ভানদানা আনুরাগ এবং ভারতীয় ডিজাইনার সুনিল মেহরা।
* অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং ইস্ত্রি করা পোশাক পরতে হবে। এতে আপনার আন্তবিশ্বাস বাড়বে। অপরিষ্কার ও কুঁচকানো পোশাক আপনার প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির জন্ম দেয়। জুতার উপরের অংশে ধুলাবালি কিংবা কাদামাটি যাতে না লেগে থাকে সেদিকেও নজন দিতে হবে। কারণ এতে আপনাকে ধরে নেওয়া হবে অপরিষ্কার এবং অলস হিসেবে।
* টাই পরতে হবে এমন রংয়ের যা আপনার শার্ট এবং সুট দুটোরই সম্পূরক হিসেবে কাজ করে। ছোট এবং ঘন ডিজাইনের প্রিন্ট থাকে এমন টাই প্রায় সব পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে যায়। জুতার সঙ্গে রং মিলিয়েই টাই পরতে পারেন।
* গাঢ় রং যেমন কালো বা নেভি ব্লু রংয়ের স্যুট পরা ভালো। স্যুট সঠিক মাপের হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, ঢিলেঢালা কিংবা অতিরিক্ত চাপা মাপের স্যুট আপনার পুরো বেশভূষা নষ্ট করে দিতে যথেষ্ট।
* সাজপোশাক আপনার ব্যক্তিত্বের পরিচয় বহন করে। তাই এমন কিছু পরতে হবে যা শুধু দেখতে সুন্দর নয়, পরতেও আরামদায়ক। আপনার ভেতরের আত্মবিশ্বাসকে ফুটিয়ে তোলে এবং দীর্ঘমেয়াদি ছাপ ফেলে এমন পোশাক পরা উচিত।
* নারীদের ক্ষেত্রে সালোয়ার কামিজ, শাড়ি আদর্শ পোশাক। তবে প্রতিষ্ঠান বুঝে পরতে পারেন প্যান্টস্যুট এবং পেন্সিল হিল। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে সাজ হয় মার্জিত এবং পোশাকে যেন আপনার ব্যক্তিত্ব ও পরিপক্বভাব ফুটে ওঠে। পরিমিত সাজ সবসমই গ্রহণযোগ্য।
* যে প্রতিষ্ঠানে ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন সেই প্রতিষ্ঠানের চালচালন ও বেশভূষা সম্পর্কে ধারণা থাকলে আপনিও নিজেও ওই ধরনের পোশাক বেছে নিতে পারেন। এতে চাকরিদাতারা আপনাকে তাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত মনে করবেন।
* অস্বস্তিকর পোশাক ও জুতা পরা উচিত হবে না। কারণ এতে আপনার মনোযোগ নষ্ট হবে এবং আত্মবিশ্বাস কমে যাবে।
* অফিসের পরিবেশ যতই বন্ধুভাবাপন্ন হোক না কেনো ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে পেশাদারী বেশভূষা বজায় রাখা উচিত। তাই আপত্তিকর এবং খোলামেলা পোশাক পুরোপুরি নিষিদ্ধ। সেইসঙ্গে এড়িয়ে চলতে হবে আঁটসাঁট পোশাকও।
* বড় প্রিন্টের কোট বা স্যুট পরা যাবে না, কারণ তা পেশাদারী পরিবেশের সঙ্গে মানানসই নয়।
ছবি: রয়টার্স।