আঘাতের দাগ সারাতে

ব্যথা পেয়ে ত্বকে পড়েছে কালশিরে, প্রতিকারের জন্য রয়েছে প্রাকৃতিক পন্থা।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 May 2017, 10:18 AM
Updated : 12 June 2017, 12:17 PM

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয়, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকলে ক্ষতস্থানগুলো এমনিতেই সেরে যায়। তবে ভুগতে হয় বেশ। ডাক্তারের কাছে যাওয়া মতো গুরুতর ব্যাপার না হলেও ঘরেই ক্ষতস্থানের পরিচর্যা করলে ভোগান্তি কমতে পারে অনেকটাই।

মেখি-গাছের বীজ: এর ব্যথানাশক ও জ্বালারোধকারী উপাদান আঘাতপ্রাপ্ত স্থানের ব্যথা ও ফোলা কমাতে সহায়ক। এক কাপ পানি ফুটিয়ে তাতে একমুঠ মেথিগাছের বীজ ফেলে দিয়ে কয়েক মিনিট অল্প আঁচে ফুটিয়ে নিতে হবে। এবার তরলটি ছেঁকে নিয়ে ঠাণ্ডা করুন। সবশেষে তুলার সাহায্যে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে মাখিয়ে দিতে হবে। আর শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। দিনে দুইবার তরলটি মাখানো উচিত।।  

অ্যাপল সাইডার ভিনিগার: জ্বালারোধকারী প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের।

প্রথমেই একটি বাটিতে সমান পরিমাণ পানি ও অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে নিতে হবে। পরে তাতে একটুকরো ‘পেপার টাওয়াল’ বা মোটা টিস্যু ভিজিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে বসিয়ে দিতে হবে। ফোলা না কমা পর্যন্ত ২০ মিনিট পর পর এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। তবে চামড়া ফেটে গেলে বা কাটা ক্ষতের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে না।

ইপসম লবণ: ব্যথা কমায় এবং পেশির টিস্যুকে আরাম দেয় এই লবণ। প্রায় সব ওষুধের দোকানেই এই লবণ কিনতে পাওয় যায়।

এক মগ গরম পানিতে দেড় কাপ ইপসম লবণ ভালোভাবে গুলিয়ে নিতে হবে। এবার এই পানিতে এক টুকরো সুতি কাপড় ভিজিয়ে ভালো ভাবে চিপে বাড়তি পানি বের করে নিন। প্রতি এক ঘণ্টা পর পর এই কাপড়টি আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে কয়েক মিনিট ধরে প্রয়োগ করতে হবে।

পার্সলে পাতা: ব্যথা ও জ্বালা কমায় পার্সলে, দূর করে আঘাতের চিহ্নও। এক মুঠ পার্সলে পাতা ধুয়ে ব্লেন্ডারে নিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। এবার পেস্টটি আঘাতের জায়গায় মাখিয়ে তার উপর ব্যান্ডেজ বেঁধে দিন। ১০ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। নিয়মিত পেস্টটি ব্যবহার করতে হবে। 

পেঁপে: এতে আছে ‘ব্রোমেলাইন’ নামক এক এনজাইম, যা আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত রক্তনালী সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।

পাতলা করে এক টুকরা পেঁপে কেটে সরাসরি আঘাতের জায়গায় প্রয়োগ করতে হবে। এক ঘণ্টা রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে যত বার ইচ্ছা ততবারই পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে পারেন।