তরুণদের দায়িত্ববান হওয়ানোর উপায়

তরুণরা সামাজিকভাবে অন্যান্যদের কাছ থেকে সহযোগিতা পেলে, তাদেরও অন্যদের প্রতি সহযোগী মনোভাব গড়ে ওঠে।

লাইফস্টাইল ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 May 2017, 11:42 AM
Updated : 19 May 2017, 11:42 AM

নতুন এক গবেষণায় এমনই তথ্য পাওয়া গেছে।

গবেষণার অন্যতম গবেষক, নিউ ইয়র্কের ‘ইউনিভার্সিটি অফ রোচেস্টার’য়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক লরা রে-লেইক বলেন, “১০ থেকে ১৬ বছর বয়সে কিশোর-কিশোরীরা সাধারণত সামাজিক দায়িত্ব-কর্তব্যের প্রতি উদাসীন হয়ে পড়ে। বয়ঃসন্ধিকালে মা-বাবা, ভাই-বোন, সহপাঠিদের সঙ্গে সম্পর্ক জটিল আকার ধারণ করে। এমনকি কিছু কিশোর-কিশোরী এই বয়সে আশপাশের মানুষের সঙ্গে সম্পর্কের বাঁধন অনুভব করে কম।”

“তবে, এসময় তারা মা-বাবা ও বিদ্যালয় থেকে সহযোগিতা পেলে এবং সেই সঙ্গে তার বন্ধু-বান্ধবরাও যদি সহযোগী মনোভাবের হয়, তাহলে এই সম্পর্কগুলো তাদের সামাজিক প্রবৃত্তিকে আবারও জাগিয়ে তুলবে।” বলেন রে-লেইক।

 “কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্কের চেতনা বৃদ্ধিটা নির্ভর করে সামজিক দায়িত্ববোধ বৃদ্ধির উপর। তাই ইতিবাচক সম্পর্ক বা সুসম্পর্কের পরিমাণ কম হলে সামাজিক দায়িত্ববোধও কম থাকবে।”- ব্যাখ্যা করেন রে-লেইক।

শহর ও মফস্বলের মিলিয়ে মোট সাড়ে ৩ হাজার কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে এই গবেষণা করা হয়। ছাত্র-ছাত্রী হিসেবে প্রত্যেকের আচরণও পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকরা। এতে দেখা যায়, সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করার কারণে দীর্ঘমেয়াদে তাদের মধ্যে যত্নবান হওয়ার মনোভাব গড়ে ওঠে।

গবেষকরা বলেন, “জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করার বাস্তব অভিজ্ঞতা সামাজিক দায়িত্ববোধ বাড়ায়।”

মাদক ও এই ধরনের ক্ষতিকর দ্রব্যের ব্যবহারের বিষয়টা পুরো উল্টো। এসব ক্ষতিকর দ্রব্য ব্যবহারের মাত্রা বাড়লে সামাজিক দায়িত্ববোধ কমে।

‘ডেভেলপমেন্ট সাইকোলজি’ শীর্ষক জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণা অনুযায়ী, কৈশোরেই যারা ঝুঁকিপূর্ণ আচরণে লিপ্ত হয় তাদের মূল্যবোধ হয় ক্ষণস্থায়ী আনন্দনির্ভর। যা অন্যদের প্রতি সাহায্যকারী ও যত্নশীল মনোভাব সৃষ্টির পথে অন্তরায়।