রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বেশি হাঁটা বা দৌড়ানো, স্যান্ডেল বা জুতা মাপ মতো না হওয়া, মোজা বা জুতা না পরে ব্যায়াম করা, দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা ইত্যাদি নানান কারণে পায়ে কড়া পড়তে পারে।
সমাধানের জন্য নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে।
অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট এবং লেবুর রস: অ্যাসপিরিনে থাকা স্যালিসাইলিক অ্যাসিড এবং লেবুর রসের সিট্রাস অ্যাসিড চামড়ার শক্ত অংশ সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
ছয়টি অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট গুঁড়া করে আধা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পরিমাণ মতো পানিতে গুলিয়ে নিন যেন পেস্ট তৈরি হয়। এবার এই মিশ্রণ একটি পরিষ্কার তুলার সাহায্যে আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে নিন। পরিষ্কার কাপড় বা প্লাস্টিকের সাহায্যে ওই অংশ পেঁচিয়ে রাখুন, ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে মিশ্রণটি আলতোভাবে পা ঘষুণি বা ‘পিউমিক স্টোন’য়ের সাহায্যে ঘষে উঠিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার এবং টি ট্রি অয়েল: এগুলোতে রয়েছে ব্যাকটেরিয়ারোধী এবং জীবাণুনাশক উপাদান যা কড়া পড়া শক্ত চামড়া নরম করে তুলতে সাহায্য করে।
হালকা গরম পানিতে খানিকটা বেইকিং সোডা গুলিয়ে পা ভিজিয়ে রাখুন। এবার পা তুলে ভালোভাবে মুছে অ্যাপল সাইডার ভিনিগারে তুলা ভিজিয়ে শক্ত হয়ে যাওয়া চামড়ার উপর লাগান। কয়েক মিনিট পর কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল লাগিয়ে নিন। টানা কয়েকদিন একই পদ্ধতি অনুসরণ করলে শক্ত হয়ে যাওয়া অংশ আলগা হয়ে উঠে আসবে।
ভিটামিন ই ও জলপাই তেল: ত্বক কোমল রাখতে এই তেল যেমন উপযোগী তেমনি শক্ত হয়ে যাওয়া কড়া সারিয়ে তুলতেও কার্যকর। অন্যদিকে জলপাই তেলে থাকা অলিয়েক অ্যাসিড ত্বকের গভীরে গিয়ে সুস্থ করে তোলে।
জলপাই তেলের সঙ্গে একদুটি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এবার কুসুম গরম পানিতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রেখে ভালোভাবে মুছে শক্ত হয়ে যাওয়া অংশে তেলের মিশ্রণ মালিশ করুন। রাতে ঘুমানোর আগে একই প্রক্রিয়ায় চালিয়ে যান যতদিন না পুরোপুরি ভালো হয়। সম্ভব হলে পায়ে মোজা পরে ঘুমান।