যেসব ফল একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়
লাইফস্টাইল ডেস্ক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 04 May 2017 04:50 PM BdST Updated: 04 May 2017 04:52 PM BdST
এক বাটি ফল ও সবজি মানেই স্বাস্থ্যকর খাবার- প্রচলিত ধারণা এমন হলেও টক, মিষ্টি বা সাধারণ স্বাদের ফল এক সঙ্গে খেলে নানান সমস্যা হতে পারে।
খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ‘ফ্রিজে যত ফল-সবজি আছে সব কেটে, অল্প লেবুর রস আর লবণ ছিটিয়ে দিলেই তা স্বাস্থ্যকর হয়ে যাবে- এমন নাও হতে পারে।’
সালাদ বানানোর ক্ষেত্রে ফলকে ভাগ করতে হবে টক, মিষ্টি ও পানসে এই স্বাদ অনুযায়ী। ফল ও সবজি একত্রে মেশানো উচিত নয়। নির্দিষ্ট কিছু ফলও একত্রে মেশানো উচিত নয়। বিষয়টা নির্ভর করবে বিভিন্ন ফল হজম হওয়ার গতির উপর। তাই উল্টা-পাল্টা উপকরণ মিশিয়ে সালাদ তৈরি করলে হজমে সমস্যা হতে পারে।
তরমুজের সঙ্গে তরমুজ: বাঙ্গি, তরমুজ ইত্যাদি ফলের সঙ্গে অন্য ফল মেশানো উচিত নয়। তরমুজজাতীয় ফলগুলোতে পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় তা অন্যান্য ফলের তুলনায় দ্রুত হজম হয়ে যায়। তবে অন্য ফলের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে হজমে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
টকের সঙ্গে মিষ্টি নয়: টকজাতীয় ফল যেমন আঙুর, স্ট্রবেরি, আপেল, বেদানা ইত্যাদির সঙ্গে মিষ্টি ফল যেমন কলা বা কিশমিশ মেশানো যাবে না। একই কারণে কলার সঙ্গে পেয়ারা মেশানো উচিত নয়।
কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, এই মিশ্রণের কারণে বমিভাব, মাথাব্যথা ইত্যাদি হতে পারে।
ফলের সঙ্গে সবজি নয়: ফল ও সবজি হজম হয় ভিন্নভাবে। ফল হজম হয় দ্রুত।
অনেক পুষ্টিবিদ বলেন, পাকস্থলিতে পৌঁছানোর আগেই ফল অর্ধেক হজম হয়ে যায়। এছাড়াও ফলে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে যা সবজি হজম প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। এই কারণে কমলার সঙ্গে গাজর মেশানো উচিত হবে না। কারণ এতে বুক জ্বালাপোড়া ও পিত্তরসের প্রবাহ বেড়ে যেতে পারে।
শ্বেতসারজাতীয় ফলের সঙ্গে প্রোটিন-সমৃদ্ধ ফল নয়: ‘স্টার্চ’ বা শ্বেতসারজাতীয় ফলের মধ্যে কাঁচাকলাই সবচাইতে সহজলভ্য, তবে এই স্বাদের সবজি আছে কয়েকটি যেমন- ভুট্টা, আলু, পানিফল ইত্যাদি। এদের সঙ্গে প্রোটিনসমৃদ্ধ ফল ও সবজি যেমন- কিশমিশ, পেয়ারা, পালংশাক, ব্রকলি ইত্যাদি কখনও মেশানো উচিত নয়। কারণ প্রোটিন হজম করতে শরীরে চাই ‘অ্যাসিডিক বেইস’ আর শ্বেতসারজাতীয় খাবার হজম করতে চাই ‘অ্যালকালাইন বেইস’।
কিছু পরামর্শ
* একসঙ্গে ৪ থেকে ৬টি ফল মিশিয়ে খেতে হবে।
* রাতের খাবারে প্রচুর প্রোটিন থাকলে পরদিন সকালে পেঁপে খেতে হবে। কারণ এতে থাকে ‘পাপাইন’ যা প্রোটিন ভাঙতে সহায়ক।
* অতিরিক্ত লবণ খাওয়া হলে পরদিন সকালে পানিসমৃদ্ধ ফল যেমন- তরমুজ খেতে হবে।
* অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া পড়লে পরদিন সকালে খেতে হবে আপেল। কারণ এই ফল জটিল বা ‘কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেইট’ ভাঙতে শরীরকে সাহায্য করে। ফলে শরীরে ফোলাভাব দেখা দেয় না।
সর্বাধিক পঠিত
- বিদায়ের ইঙ্গিত দিলেন স্ত্রী, মুশফিক বললেন ‘এমন ভাবনা নেই’
- ‘বাংলাদেশে আসলে অভিজ্ঞতার দাম নেই’
- শেষ বেলার ২ উইকেটে এগিয়ে বাংলাদেশ
- ‘সালিশে ক্ষুব্ধ’: চেয়ারম্যানের ছেলেকে ‘হত্যার পর আত্মহত্যা’
- ডলারের তেজ খানিকটা কমল
- ফেনীতে গাড়ি তল্লাশি নিয়ে র্যাব-পুলিশের ‘হাতাহাতি’, আহত ৪
- নয় সচিব পদে রদবদল, পদোন্নতি
- শেষের নাটকীয়তায় হেরে কলকাতার বিদায়
- আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরকারের ভাবনায় রাইস ব্র্যান ও সরিষার তেল
- চান্দিমাল-ডিকভেলার প্রতিরোধ