ঘুমের কারণে বয়সের ছাপ

সুন্দর ত্বকের জন্য চাই পর্যাপ্ত ঘুম। আবার সঠিকভাবে না ঘুমালে চোখ ফুলে যেতে পারে। হতে পারে ব্রণ, পড়তে পারে বলিরেখা।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 May 2017, 06:57 AM
Updated : 1 May 2017, 07:03 AM

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে দিল্লির লুমিয়ার ডার্মাটোলজি’র ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. কিরণ লোহিয়া জানান, রাতে ভুলভাবে ঘুমানোর কারণে ত্বকে সমস্যা হতে পারে। 

বালিশের কারণে ত্বকের ক্ষতি: চিত হয়ে শোয়া সবচেয়ে ভালো। ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি কাত হয়ে শোয়া দেহের তরল নিষ্কাশনের জন্য ভালো।

অনেকে সম্পূর্ণ কাত বা উপুর হয়ে শুয়ে থাকেন। ফলে মুখ বালিশে চাপ খেয়ে থাকে। বালিশে থাকে ব্যাকটেরিয়া বা মুখে ব্যবহার করার ক্রিম। তাই নিয়মিত বালিশের কভার পরিষ্কার করা উচিত। তানা হলে মুখে হতে পারে ফুসকুড়ি বা ব্রণ।

পেটে চাপ থেকে ত্বকের ক্ষতি: অনেকেই উপুর হয়ে ঘুমাতে পছন্দ করেন। যা সবচেয়ে ক্ষতিকর।

ঘুমের সময়ও ত্বকের শ্বাস নেওয়ার প্রয়োজন হয়। উপুর হয়ে ঘুমালে মুখের সমস্ত চাপ বালিশের উপর পড়ে বলে ত্বকের ‘ফলিকলস’ বা গ্রন্থিকোষগুলো বাধা পায়। ফলে লোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়, যা থেকে দেখা দিতে পারে ব্রণ ও বলিরেখা।

মুখের কাঠামো আট ঘণ্টা বালিশের চাপে থাকলে ত্বকে চাপ সৃষ্টি করার জন্য যথেষ্ট। তাছাড়া এইভাবে ঘুমালে মুখ সমতল বা চেপ্টাভাবও দেখা দিতে পারে।

পাশ ফিরে ঘুমানোর প্রভাব: এভাবে শোয়া উপর হয়ে ঘুমানোর চাইতে কম ক্ষতিকর। তবে আদর্শ নয়।  

এক কাত হয়ে ঘুমালে সারা শরীরের চাপ একপাশে পড়ে। ফলে গালের একপাশের হাড় চাপ খেয়ে থাকে। যা থেকে হতে পারে বলিরেখা। এছাড়া ঘুমের আগে ত্বকের যত্নে কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করলে, পাশ ফিরে শোয়ার কারণে তা বালিশে লেগে যায়। ফলে ত্বকে ঠিকমতো মিশতে পারে না।

চিত হয়ে ঘুমানোর প্রভাব: এভাবে ঘুমানো সব থেকে ভালো।

প্রথমত, এই ভঙ্গিমায় ঘুমালে মুখের ত্বকে খুব বেশি চাপ পড়ে না। ফলে বলিরেখা কম দেখা দেয় এবং মুখের ত্বক তারুণ্য উজ্জ্বল ও কোমল থাকে।

উপুর হয়ে অথবা পাশ ফিরে ঘুমালে দেহের তরল চোখের চারপাশে জমা হয়। যা থেকে হতে পারে চোখের নিচে ফোলাভাব।

তাছাড়া বালিশের কভারে লেগে থাকা তেল-ময়ালা মুখে কম লাগার সম্ভাবনা থাকে।

ত্বকের সুরক্ষায় নিয়মিত চিত বা সোজা হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। যদিও এটি চর্চা করা বেশ কঠিন। তবে ত্বকের সুরক্ষায় এটি প্রয়োজন।