গবেষকরা বলছেন, এর ফলে মানুষের যে কোনো বিষয়ে ইতিবাচকভাবে দেখার ক্ষমতা কমে যায়, বিশেষ করে যারা মানসিক চাপে ভুগছেন।
মস্তিষ্কের এই অংশের নাম ‘ডোরসাল অ্যান্টেরিয়র সিঙ্গুলেট করটেক্স’। ‘ডিপ্রেশন অ্যান্ড অ্যাংজাইটি’ শীর্ষক জার্নালে প্রকাশিতে এই গবেষণায় বলা হয়, যাদের ঘুমের সমস্যা আছে এবং সেইসঙ্গে দুশ্চিন্তা ও অস্বস্তিতে ভুগছেন, তাদের নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে মস্তিষ্কের এই বিশেষ অংশের অনেক কাজ করতে হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো কলেজ অফ মেডিসিন’য়ের ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়’য়ের সহকারী অধ্যাপক হেইডি ক্লাম্প বলেন, “আমাদের গবেষণা ইঙ্গিত করে যে, অস্বস্তিতে ভোগা ও দুশ্চিন্তাগ্রস্তদের নেতিবাচক আবেগ নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ঘুম।”
অংশগ্রহণকারীদের আবেগতাড়িত কাজ করার আহ্বান করা হয় এবং তাদের মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের কার্যকলাপ এমআরআই স্ক্যানের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকরা।
গবেষণায় অংশ নেওয়া ৭৮ জনের বয়স ছিল ১৮ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে এবং তাদের দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপজনীত সমস্যা ছিল।
অংশগ্রহণকারীদের যুদ্ধ ও দুর্ঘটনার বিভিন্ন ধ্বংসাত্বক ছবি দেখিয়ে তাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে মানা করা হয়।
এর মধ্যে থেকে ইতিবাচক দিক খুঁজে বের করার উদাহরণ হিসেবে ক্লাম্প বলেন, “ধরা যাক, খুব বাজেভাবে আঘাতপ্রাপ্ত একজন নারীর ছবি দেখে তাকে সহিংসতার হাত থেকে বেঁচে আসা মনে না করে, মেইকআপ করা একজন অভিনেত্রীর কথা মনে করতে বলা হয়।” বলেন ক্লাম্প।
তিনি আরও বলেন, “রিপ্রাইজল’ বা পুনর্বিবেচনা করার এই কাজে প্রচণ্ড মানসিক শক্তির প্রয়োজন। আর দুশ্চিন্তাগ্রস্তদের ক্ষেত্রে তা আরও বেশি কঠিন। কারণ এই সমস্যাগুলোর বৈশিষ্ট্য হল সবকিছুকেই নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা এবং তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করা। ফলে তারা যে কোনো বিষয়ের ভালো দিকটা সহজে দেখতে পান না।”
গবেষকরা দেখতে পান, যাদের ঘুম কম তাদের ক্ষেত্রে এই পরিস্থিতি সত্যি।
ছবি: রয়টার্স।