কেশ বিপর্যয়ের ১০ কারণ

অনিয়মিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং স্টাইলিংয়ের জন্য চুলের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 April 2017, 10:22 AM
Updated : 25 April 2017, 10:22 AM

রূপচর্চাবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো দৈনন্দির অভ্যাস থেকেও চুলের ক্ষতি হতে পারে। সচেতন থাকলে এই ক্ষতি এড়ানো যায়।  

গরম পানি: গরম পানি দিয়ে চুল ধুলে চুল শুষ্ক ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। এটি রং করা চুলের ক্ষতি করে এবং চুল কোঁকড়া করে ফেলে। গোসল করার সময় যতটা সম্ভব চুলে গরম পানি ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। চুল সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে চুলে ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করাই ভালো। 

অতিরিক্ত সূর্যের তাপ: চুল শুষ্ক হওয়ার অন্যতম কারণ প্রতিদিন রোদে পোড়া। এর ফলে চুল আর্দ্রতা হারায় এবং ভঙ্গুর হয়ে যায়। এ থেকে মুক্তি পেতে চুলে এসপিএফ স্প্রে করুন অথবা রোদে যাওয়ার সময় চুল ঢেকে রাখুন।

অপর্যাপ্ত ঘুম: নিয়মিত ঘুমে অনিয়ম হলে তা ত্বক ও চুলের উপর দীর্ঘমেয়াদী কুপ্রভাব ফেলে। চুল পড়ে যাওয়া, ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া ও উজ্জ্বলতা কমে। তাই প্রতিদিন আট ঘন্টা ঘুম নিশ্চিত করা উচিত।

যন্ত্রের ব্যবহার: তাপ চুলের জন্য ভালো নয়। রোদ, গরম পানি ছাড়াও কেশ পরিচর্যায় যেসব ‘যন্ত্র’ ব্যবহার করা হয় সেগুলোর তাপ চুলের জন্য ক্ষতিকারক। এ থেকে চুলের আর্দ্রতা হারায়। তাই যতটা সম্ভব চুলে উত্তপ্ত সামগ্রী কম ব্যবহার করুন এবং চুল শুকাতে কম তাপে 'ব্লো-ড্রায়ার' ব্যবহার করুন। না হলে 'কুল সেটিং'য়ে ব্যবহার করা উচিত।   

শক্ত করে চুল বাঁধা: উঁচু করে পনিটেইল, খোঁপা বা বেণি করলে দেখতে ভালো লাগে। তবে নিয়মিত এভাবে চুল বাঁধলে চুলের ক্ষতি করে। শক্ত করে বাঁধার কারণে চুল দুর্বল হয়ে যায় এবং চুল পড়া সমস্যার সৃষ্টি করে।

অবসাদ: নারী ও পুরুষের চুল পড়ার অন্যতম কারণ হল দুশ্চিন্তা। অতিরিক্ত চিন্তা করা বন্ধ করে যোগ ব্যায়াম, ধ্যান এবং শরীরচর্চার মাধ্যমে অবসাদ দূর করার চেষ্টা করা উচিত। 

ভুল প্রসাধনী: চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় সঠিক প্রসাধনী বেছে নেওয়া দরকার। চুলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এমন প্রসাধনী ব্যবহার করলে নানারকম সমস্যা হতে পারে। যেমন- শুষ্ক চুল, চুল পড়া বা খুশকি হওয়া।

নিয়মিত ‘স্টাইলিং’ পণ্য ব্যবহার করা: যদিও চুলে স্টাইল করতে সবাই পছন্দ করেন। তারপরও চুলে ক্ষতি করে এমন স্টাইলের মধ্যে 'ব্যাক কম্বিং', 'টিইজিং, 'পুলিং' ইত্যাদি সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত। এগুলো চুল দুর্বল ও কোঁকড়া করে দেয়। এছাড়াও বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান যেমন- চুলের স্প্রে, জেল বা ক্রিম চুলের অপূরণীয় ক্ষতি করে।  

ক্ষতিকারক পণ্য: চুলের পণ্যে থাকে অ্যালকোহল, কৃত্রিম সুগন্ধি, প্যারাবেন, অ্যামোনিয়া, সালফেট ইত্যাদি। যা চুলের গুরুতর ক্ষতি করে। যতটা সম্ভব চুলে রং ও ব্লিচ কম করুন এবং যতটা সম্ভব পরিষ্কার ও নিয়ন্ত্রণে রাখুন। 

অপর্যাপ্ত পানি পান: চুলের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা নিশ্চিত না করলে কোনো কিছুই কাজে দেয় না। প্রাকৃতিকভাবে চুলকে আর্দ্র রাখতে প্রতিদিন আট গ্লাস পানি পান করুন।