‘পিসিওএস’য়ের লক্ষণগুলো

পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রম বা পিসিওএস- এক প্রকার হরমোনজনিত রোগ। এর উপসর্গ হতে পারে অতিরিক্ত চুল পড়া, অনিয়মিত মাসিক, ব্রণ ইত্যাদি।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 April 2017, 11:31 AM
Updated : 12 June 2017, 12:20 PM

নারী দেহে হরমোনের অসামঞ্জস্যতার ফলে পিসিওএস রোগ হয়ে থাকে। হরমোনের সমস্যায় ভুগছেন এমন নারীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। তবে অনেকেই এই রোগের সাধারণ লক্ষণগুলো ঠিক আমল দেন না।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত লুমিয়ার ডার্মাটলজি’র ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. কিরণ লোহিয়া পিসিওএস’য়ের বিভিন্ন লক্ষণ সম্পর্কে জানান।

অনিয়মিত মাসিক: বেশিরভাগ সময় এই সমস্যার জন্য মানসিক চাপ বা হতাশাকে দোষারোপ করা হয়ে থাকে। তবে টানা দুতিন বার মাসিকচক্রে যদি অনিয়মিত হওয়ার সমস্যা থাকে তাহলে বুঝতে হবে কোনো একটা গন্ডগোল আছে। এমন পরিস্থিতিতে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

ব্রণ: একটা নির্দিষ্ট বয়সে ব্রণের সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। তবে দীর্ঘদিন এই সমস্যা থাকার কারণ হতে পারে পিসিওএস। এই অবস্থায় ত্বক বিষেশজ্ঞ বা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলা জরুরি।

কারণ ছাড়াই ওজন বৃদ্ধি: অতিরিক্ত খাবার খাওয়া বা অলসভাবে সময় কাটানোর ফলে ওজন বাড়তেই পারে। তবে খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারা পরিবর্তিন করার পরও যদি ওজন বাড়তে থাকে তাহলে পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রম হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। হরমোনের অসামঞ্জস্যের কারণে ওজন বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে কোমরে অপেক্ষাকৃত বেশি মেদ জমতে পারে। 

অবাঞ্ছিত লোম: গালে, থুতনিতে বা গলায় হঠাৎ করেই যদি লোম বৃদ্ধি পায় তাহলেও পিসিওএস হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেও লোম থেকে রেহাই পাওয়া যায় না। এমনকি লেজার ট্রিটমেন্টের পরও এই সমস্যা থেকে যায়। তাই অতিরিক্ত লোমের সমস্যা থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

চুল পড়া: প্রায় প্রতিটি নারীর জীবনের একটি স্বাভাবিক সমস্যা চুল পড়া। পুরুষের শরীরে থাকা হরমোন অ্যান্ড্রোজেনস’য়ের মাত্রা যদি কোনো নারীর শরীরে বৃদ্ধি পায় তাহলেও চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া পিসিওএস’য়ের কারণেও চুল পাতলা হয়ে যেতে পারে।

ছবি: রয়টার্স।