স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অতি পরিচিত এই ধারণার উদ্ভব হয় ১৯২২ সালে। যা পরে পরিণত হয় প্রবাদ বাক্যে।
আপেল সবচাইতে পুষ্টিকর ফল হিসেবে তুলে ধরে এই প্রবাদ।
ধারণাটি মোটামুটি সত্য হলেও, কলা, পেঁপে, কমলা, জাম ইত্যাদি ফলেও পুষ্টির কমতি নেই। তাহলে শুধু আপেল নিয়েই প্রবাদ তৈরি হল কেনো? উত্তরটা দিয়েছে পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট।
প্রবাদটি এত বছর টিকে থাকার একটি বড় কারণ- এর সংক্ষিপ্ত সত্যতা। শরীরে কোলেস্টেরল জমা হওয়া দমন করে আপেল। আবার নিয়ন্ত্রণ করে রক্তচাপ। কিছু গবেষণা ইঙ্গিত করে যে, ফলটি কয়েক ধরনের ক্যান্সারের হাত থেকেও রক্ষা করতে সক্ষম।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জেনেল বয়্যার ও রু হাই লিউ এর মতে, “আপেল ফলানো অত্যন্ত সহজ এবং ফলটি অত্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী। গাছ থেকে পেড়ে আনার পর এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা সম্ভব। কিছু গবেষণার দাবি, গাছ থেকে পাড়ার দুইশ দিন পর্যন্ত আপেলের সকল পুষ্টিগুণ অটুট থাকে।”
এছাড়াও ফলটির সাচ্ছন্দ্য অস্বীকার করার উপায় নেই। খাওয়া একেবারেই ঝামেলামুক্ত, বহন করাও সহজ। আর যেহেতু এর শতকরা ৮৫ ভাগই পানি এবং প্রচুর আঁশ থাকে, তাই ফলটি অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখে কোনোরকম বাড়তি ক্যালরি ছাড়াই।
তবে যতই পুষ্টিগুণে ভরপুর হোক না কেনো, কোনো একটি নির্দিষ্ট ফলের ডাক্তারকে দূরে রাখার ক্ষমতা নেই। ডাক্তার দূরে রাখার মূলমন্ত্র হল খাদ্যাভ্যাসে ভিন্নতা আনা।
এ বিষয়ে বিশ্বব্যাপি পুষ্টিবিদদের পরামর্শ হল, ৩:৪ অনুপাত, অর্থাৎ তিন রংয়ের ফল ও চার রংয়ের সবজি থাকা চাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়।
তাই বাজার করার সময় পরামর্শটি মনে রাখতে হবে। শুধু আপেলে আটকে না থেকে বেছে নিতে হবে লেবুজাতীয় ও মৌসুমি ফল একং সবজি।
ছবি: দীপ্ত।