বৈসাবিতে ফুল বিজু'র মাধ্যমে উৎসবের সূচনা হয়। শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া চেঙ্গী নদীতে ফুল ভাসায় আদিবাসী পুরুষ-নারী, তরুণ-তরুণী এমনকি শিশুরাও। রঙিন বাহারি আদিবাসী পোশাকে তরুণ-তরুণীরা বিজুফুল, মাধাবী লতা, অলকান্দ, জবা, নয়নতারাসহ বিচিত্র সব ফুল নদীতে ভাসায়।
বৈসাবির অন্যতম আর্কষণ পানি খেলা বা ‘জলকেলি উৎসব’। বর্ণাঢ্য র্যালি, গড়িয়া-নৃত্যসহ দারুণ সব আয়োজন। উৎসবের রং ছড়ায় পাহাড়ের দর্শণীয় এলাকাগুলোতে।
উৎসব উপভোগ করার পাশাপাশি এসব এলাকা ঘুরে প্রকৃতির অনাবিল সৌন্দর্যে ডুব দিতে পারেন। খাগড়াছড়ি শহরের কাছেই আলুটিলা'র রহস্য সুড়ঙ্গ।
গাড়ি থেকে নামতেই চোখে পড়বে বিশাল বটবৃক্ষের পাদদেশে লেখা, ‘আপনি কি একজন সাহসী অভিযাত্রী, তাহলে রহস্যময় সুড়ঙ্গে আপনাকে স্বাগতম।’
আলুটিলা পাহাড় থেকে খাগড়াছড়ি শহর দেখতে বেশ, মনে হয় কোনো পাখির চোখে পুরো শহরটাকে দেখছি। পাহাড়ের পাদদেশ বিস্তৃত, শহরে সীমানা পযর্ন্ত। সকালে আলুটিলা ঘুরে দুপুরের নাগাদ রিছাং ঝরনার পথে রওনয়া দেওয়া যায়। মূল সড়ক থেকে রিছাং ঝরনার দূরত্ব প্রায় ২.৫ কিলোমিটার।
পথের অপরূপ সৌন্দর্যের স্বাদ নিতে নিতে পৌছে যাবেন সেখানে। পাহাড়ের ওপর থেকে বয়ে আসা ঝরনার স্রোতধারা আবার দীর্ঘ ক্যাসকেড বেয়ে আছড়ে পড়ছে নিচের দিকে। রিছাং খুব বেশি বড় না হলেও ঝরনার নান্দনিক কাঠামো মুগ্ধ করবে সবাইকে।
রিছাং ঝরনা শীতল জলের পরশ গায়ে লাগিয়ে ফিরতে ফিরতে দূর পাহাড়ের গায়ে হেলান দেবে সুর্য। শেষ বিকেলের আলোয় পাহাড়ের বুকে ডুবন্ত রবির রঙিন দৃশ্য দেখতে দেখতে ফিরতে পারবেন শহরে।
খাগড়াছড়ি শহরের আশপাশের ভ্রমণ পর্ব শেষ করে, হাতে আরেক দিন সময় বাড়িয়ে ঘুরে আসতে পারেন সাজেক উপত্যকায়। হালের ‘ক্রেইজ’ এই উপত্যকার সৌন্দর্যের স্বাদ নিতে থাকতে হবে এক রাত।
প্রয়োজনীয় তথ্য: ঢাকা থেকে এসি/ননএসি বাসে পৌঁছাতে পারবেন খাগড়াছড়ি। শ্যামলী,এস আলম, ইকোনো, রিফাত, হানিফ, সেন্টমার্টিনসহ বেশ কিছু এসি/ননএসি বাসে নিয়মিত যাতায়াত করে।
এছাড়াও বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৮১৫-৮৫৬৪৯৭ নম্বরে।
ছবি: লেখক ও জীবন চৌধুরী।