কন্ডিশনারের ভিন্ন ব্যবহার

চুল ঝলমলে দেখাতে শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। তবে এই প্রসাধনী অন্য কাজেও ব্যবহার করা যায়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 March 2017, 10:29 AM
Updated : 22 March 2017, 10:29 AM

প্রসাধনীবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে কন্ডিশনারের বিকল্প ব্যবহারের কথা জানানো হয়।

শেইভিং ক্রিম: অবাঞ্ছিত লোম থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই নানান ব্র্যান্ডের শেইভিং ফোম ব্যবহার করেন। আবার অনেকে বেছে নেন শাওয়ার জেল বা শ্যাম্পু। তবে এগুলোর বদলে কন্ডিশনার হতে পারে বেশ কার্যকর বিকল্প। কন্ডিশনার ব্যবহারের ফলে শেইভিংয়ের পরেও ত্বক কোমল থাকবে।

কিউটিকল ক্রিম: নখের চারপাশের চামড়া প্রায়ই শুষ্ক হয়ে যায়, এই অংশকেই কিউটিকল বলে। অল্প পরিমাণে কন্ডিশনার নিয়ে নখের চারপাশে ভালোভাবে মালিশ করুন। কন্ডিশনার শুষ্ক ত্বকেও আর্দ্রতা যোগাবে।

কাপড় সুরভিত রাখতে: কন্ডিশনারের হালকা গন্ধ প্রায় সবারই পছন্ধ। কাপড়েও ওই হালকা সুবাস স্নিগ্ধতা ধরে রাখবে। একটি স্প্রে বোতলে এক ভাগ কন্ডিশনার এবং নয় ভাগ পানি ভরে ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিন। ওই মিশ্রণ কাপড়ে স্প্রে করুন, কন্ডিশনার কাপড়কে সুরভিত রাখবে।

গোসলের সময় ময়েশ্চারাইজিং: গোসলের পর শরীর শুকানোর সঙ্গে কিছুটা আর্দ্রতাও হারিয়ে যায়। গোসলের পানিতে খুব অল্প পরিমাণে কন্ডিশনার মিশিয়ে নিন। এর ফলে দেহে গোছলের পানি শুকিয়ে যাওয়ার পরেও ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখবে। এরপর পছন্দের লোশন বা ক্রিম লাগিয়ে নিন ত্বকে।

এঁটে থাকা আংটি খুলতে: দীর্ঘদিন আংটি পরে থাকার কারণে আঙুলের সঙ্গে এঁটে যেতে পারে। এটি খুলতে বেশ বেগ পেতে হয়। তখন অনেকেই ব্যবহার করেন সাবান বা শ্যাম্পু। এর বদলে কন্ডিশনার ব্যবহার আরও বেশি কার্যকর। আংটির উপর খানিকটা কন্ডিশনার লাগিয়ে তা ভালোভাবে ঘষে নিন, এতে চামড়ার সঙ্গে এঁটে থাকাভাব হালকা হবে এবং আংটি খুলে আসবে।