রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের এক প্রতিবেদনথেকে উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার কিছু উপায় সম্পর্কে জানা যায়।
তাজা ফল ও সবজি খাওয়া: যে কোনো ঋতু বা সারাদিনের কর্ম ব্যস্ততা যেমনই হোক না কেনো তারফাঁকে ফাঁকে সবসময় তাজা ফল ও সবজি খান। এতে শরীর প্রয়োজনীয় ভিটামিন পায় যা বিষাক্তপদার্থের পরিমাণ কমিয়ে সুস্থ শরীর ও সুন্দর ত্বক পেতে সাহায্য করে।
ভালোভাবে মেইক-আপ তোলা: ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভালোভাবে মেইকআপ তুলুন ও ত্বক আর্দ্র রাখারজন্য ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। ভালোভাবে মেইকআপ তোলা না হলে তা ত্বকের নানা রকমেরক্ষতি করতে পারে।
দিনে দুইবার মুখ ধোওয়া: দিনে অন্তত দুবার হালকা, ফেনা সৃষ্টিকারী ফেইসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোওয়াউচিত।
এক্সফলিয়েট করা: তৈলাক্ত ত্বকের জন্য নিয়মিত এক্সফলিয়েট বা মৃতকোষের স্তর অপসারণ করা প্রয়োজন।এতে লোমকূপগুলো উন্মুক্ত থাকে ও ত্বক কোমল হয়।
শরীরচর্চা করা: স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা অথবা শারীরিক পরিশ্রমহয় এমন কাজ করা উচিত। এতে শরীরে শক্তি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং অবসাদ দূরহয়। পাশাপাশি ত্বক ও মাথায় রক্তসঞ্চালন বাড়ায়।
পানি পান করা:শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান করা প্রয়োজন। তাছাড়া সারাদিননানা রকমের খাবার খাওয়ার ফলে যে দেহে যে বিষাক্ত পদার্থ জমা হয়, তা বের করে দিতে পানিসাহায্য করে।
গোলাপ জল: প্রতিসপ্তাহে অন্তত একবার গোলাপ জল ও মুলতানি মাটি দিয়ে ফেইসপ্যাক তৈরি করে ব্যবহার করুন।এটি ত্বকে টান টান ভাব আনতে ও মুখ থেকে ক্লান্তির ছাপ দূর করতে ‘টোনার’য়ের মতো কাজকরে।
টমেটোর রস:মুখে মেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বক পরিষ্কার করতেও উজ্জ্বলভাব আনতে সাহায্য করে।
চোখের নিচের অংশের যত্ন: অন্যতম স্পর্শকাতর জায়গায় বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। শসা টুকরা করেকেটে তা চোখের উপরে রেখে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন। এটি ত্বককে আরাম দিতে ও ক্লান্তিদূর করতে সাহায্য করে।
ছবির প্রতীকী মডেল: শারমিন রমা। ছবি: ই স্টুডিও।