Published : 28 Feb 2017, 06:11 PM
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে, ‘গ্লোবাল ব্রিফ অন হাইপারটেনশন ২০১৩’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে ‘হাইপারটেনশন’ বা অস্বাভাবিক উচ্চ রক্তচাপ সমস্যাকে তুলে ধরা হয়েছিল জনস্বাস্থ্য সঙ্কট হিসেবে।
হৃদরোগ, স্ট্রোক, বৃক্কজনীত সমস্যা, অকাল মৃত্যু, বিকলাঙ্গতা ইত্যাদি সবকিছুর পেছনেই এই সমস্যার অবদান আছে।
৯০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই এই সমস্যার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। এমনকি রোগী নিজেই জানেন না তার রোগের কথা। তবে আশার কথা হল হাইপারটেনশন প্রতিরোধ ও প্রতিকার যোগ্য।
রসুন: রসুন শরীরে নাইট্রিক অক্সাইড ও হাইড্রোজেন সালফাইড তৈরিতে সহায়তা করে। এই উপাদান দুটি রক্তসঞ্চালন ভালো রাখে, রক্তনালী শিথিল করতে সহায়তা করে, পেটে গ্যাস জমা কমায় এবং হৃদযন্ত্রের উপর চাপ কমায়। তাই প্রতিদিনের রান্নায় এক’দুটি থেঁতলানো রসুন যোগ করতে পারেন।
ডাবের পানি: এতে আছে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম যা পেশির গঠন নিয়ন্ত্রণে উপকারী ভূমিকা পালন করে। গবেষণা অনুযায়ি, সিস্টোলিক রক্তচাপ কমাতে ডাবের পানি বিশেষ উপকারী। প্রতিদিন সকালে ও রাতে এক কাপ করে ডাবের পানি খেলে উপকার মিলবে।
পটাশিয়াম: শরীরের উপর সোডিয়ামের ক্ষতিকর প্রভাব কমায় পটাশিয়াম। পর্যাপ্ত পটাশিয়াম পেতে প্রতিদিন এক থেকে দুটি কলা খেতে পারেন। এছাড়াও কিশমিশ, পালংশাক, ধুন্দুল, বেইক করা মিষ্টি আলু ইত্যাদি পটাশিয়ামের উল্লেখযোগ্য উৎস।
তামাক ও অ্যালকোহল ছাড়ুন: রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার একটি অন্যতম কারণ মদ্যপান ও ধূমপান। পাশাপাশি এই বদভ্যাস থাকলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ কাজ করে কম।
ছবি: রয়টার্স।