পেশিতে টান, আগেই সাবধান

বেশ আছেন। হাঁটছেন, চলছেন। হঠাৎ একদিন পায়ের পেশিতে টান। ব্যথায় আর পা মাটিতে পড়ে না! এরকম অবস্থায় যাতে পড়তে না হয় সেজন্য শরীরে দরকার প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও ভিটামিন।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Feb 2017, 10:40 AM
Updated : 5 Feb 2017, 10:40 AM

লোকমুখে ‘মাসল ক্র্যাম্প’, পেশিতে খিঁচুনি, রগে টান পড়া ইত্যাদি নামেই এটি বেশি পরিচিত। ব্যায়ামের কারণে হওয়া খিঁচুনি, পেশিকে টানটান করার মাধ্যমে সেরে গেলেও কোনো কারণ ছাড়াই হওয়া খিঁচুনি সহজে পিছু ছাড়ে না।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একেটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে ভারতের কনসাল্টিং নিউট্রিশনিস্ট অ্যান্ড ক্লিনিকাল ডায়াটিশিয়ান পুজা মাখিজা জানান, শারীরিক কিছু সমস্যার কারণে এমনটা হয়। এর মধ্যে অন্যতম পানিশূণ্যতা ও প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব।

পানিশূণ্যতা: পানির অভাবে শরীরের পেশি সংকুচিত হয়ে যায়। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। পাশাপাশি শরীরচর্চা, শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করলে, গ্রীষ্মকালে এরচাইতে বেশি পানি পান করা উচিত।

আয়রন বা লৌহের অভাব: দেহে লৌহের অভাবে পেশিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না, ফলে তীক্ষ্ণ ব্যথা হয়। সবুজ শাক-সবজি, শষ্যজাতীয় খাবার, বাদাম ও মাংস লৌহের আদর্শ উৎস।

দস্তা ও ম্যাগনেসিয়াম: পেশির কোষ গঠন এবং এর স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে অত্যন্ত জরুরি দুটি খনিজ দস্তা ও ম্যাগনেসিয়াম। অয়েস্টার বা ঝিনুক, কাঁকড়া, লাল-মাংস, দানাজাতীয় খাবার ইত্যাদিতে দস্তা মেলে। দস্তার উৎস তুলনামূলক কম, তাই অভাব পূরণে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ি সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।

অপরদিকে গাঢ় ‍সবুজ রংয়ের পত্রল শাক-সবজি, মাছ, বীজজাতীয় খাবার, বাদাম, দই ও কলায় থাকে ম্যাগনেসিয়াম।

ভিটামিন ডি: শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের পরিমাণের ভারসাম্য বজায় রাখে ভিটামিন ডি। এর অভাবে পেশিতে খিঁচুনি হয়। সকালের রোদ, ডিমের কুসুম, চর্বিযুক্ত মাছ এবং চিজ বা পনিরে ভিটামিন ডি মেলে। শরীরে এই ভিটামিনের পরিমাণ বাড়ানোর বিকল্প পথের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।