কিছু খাদ্যাভ্যাস যা ক্ষতিকর

অনেক সময় আমরা একাধিক খাবার এক সঙ্গে খেয়ে থাকি। যা অনেক সময় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Jan 2017, 12:23 PM
Updated : 24 Jan 2017, 12:23 PM

খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একট ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে ভারতের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি’র মেডিসিনের ডাক্তার মানিশ তিওয়ারি বলেন, “প্রতিদিন সুষম খাবার খাওয়া জরুরি। তবে অনেক সময় ভুল খাবারের সমন্বয়ে পুষ্টি বৃদ্ধির বদলে তা ক্ষতিকারক হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই কোন কোন খাবারের সমন্বয় ক্ষতিকর সেই সম্পর্কে ধারণা রাখা দরকার।”

চিজ বা পনির সমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গে কোমল পানীয়: অতিরিক্ত চিজ এবং কোমল পানীয়, দুটি খাবারই লোভনীয় হলেও স্বাস্থ্যের জন্য তেমন উপকারী নয়। তার উপর এই দুয়ের সমন্বয়ে হতে পারে আরও বেশি ক্ষতির কারণ।

কোমল পানীয়র ফ্রুকটোজ নামের উপাদান হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে। আর এ কারণে অনেক সময় পেটে অস্বস্তি হয়। আর এ ধরনের পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকার কারণে মুটিয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা তো আছেই।

একইভাবে অতিরিক্ত চিজ সমৃদ্ধ খাবার খেলে শরীরে মেদ জমতে পারে। আর দুটি ক্ষতিকর খাবার একই সঙ্গে খেলে ক্ষতির মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা থেকে বাড়তি চিজ ও কোমল পানীয় বাদ দেওয়াই ভালো।

দুধ ও কলা: দুধ-কলা দিয়ে ভাত খাওয়ার রীতি আমাদের দেশে বহু ‍পুরানো। পাশাপাশি কলা এবং দুধ দিয়ে তৈরি স্মুদিও অনেকের বেশ প্রিয় পানীয়। তবে এই ‍দুই পুষ্টিকর খাবার একসঙ্গে খেলে পেট ভার হয়ে থাকতে পারে।

ডা. তিওয়ারি বলেন, “যাদের হজম ক্ষমতা ভালো একমাত্র তারাই চাইলে দুধ ও কলা এক সঙ্গে খেতে পারেন।”

তিনি আরও বলেন, “কলা পেটে গিয়ে টকভাব তৈরি করে। ফলে দুধ দই’য়ে পরিণত হয়। আর এতে করে পেট ভার হয়ে যায় এবং হজমেও সমস্যা হয়।”

হজমে সহায়ক এনজাইমের ঘাটতির কারণে অনেকেরেই দুধ হজমে সমস্যা হতে পারে। আর দুধের সঙ্গে কলা খেলে এই সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।

খাওয়ার পরে ফল খাওয়ার অভ্যাস: খাওয়ার ঘণ্টা খানেক আগেই ফল খাওয়ার উপযুক্ত সময়। রাতে বা দুপুরের খাবার খাওয়ার পরপরই যদি ফল খাওয়া হয় তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই ফলের পুষ্টি শরীর শুষে নিতে পারে না। মূল খাবার খাওয়ার অন্তত আধা ঘণ্টা পর ফল খাওয়া উচিত।

ডা. মানিশ তিওয়ারি বলেন, “প্রতিদিনই প্রত্যেকের অন্তত একটি মৌসুমি ফল খাওয়া উচিত। রাত জেগে থাকার অভ্যাস থাকলে যদি কিছু খাওয়ার অভ্যাস থাকে সেক্ষেত্রে বাজে খাবার না খেয়ে ফল খাওয়া যেতে পারে। এতে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় কম থাকবে।”

খাওয়ার মাঝে পানি খাওয়া: মাঝে বা খাওয়া শেষ হওয়ার পরপরই পানি পান না করার পরামর্শ দেন ডা. তিওয়ারি। খাওয়ার পরপরই পানি পান করলে অস্বস্তি হওয়ার পাশাপাশি হজমে সমস্যা হতে পারে। তাই খাওয়া শেষ হওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পর পানি পানের পরামর্শ দেন তিনি। এতে খাবার থেকে সঠিকভাবে পুষ্টি শুষে নিতে পারবে শরীর।

খাওয়ার পর চা পান: চা’য়ে রয়েছে ট্যানিন নামক একটি উপাদান যা খাদ্যের পুষ্টি শোষণে বাধা দেয়। খাবার খাওয়ার পরপর ক্যাফেইন যুক্ত পানীয় লৌহ ও আমিষ এই দুই পুষ্টি উপাদান শোষণে ব্যাঘাত ঘটায়। এ কারণে খাবারের পরপরই চা পান করা উচিত নয়।