অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের পাঁচটি উপকারিতা

ডায়রিয়া, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগের প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহার করা যায়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Jan 2017, 03:52 AM
Updated : 18 Jan 2017, 03:52 AM

অ্যাপল সাইডার ভিনিগার দিয়ে কীভাবে কোন রোগের মোকাবিলা করবেন! সেইসব পদ্ধতি স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট অবলম্বনে এখানে দেওয়া হল।   

ডায়রিয়া: এই রোগ হলে পানির সঙ্গে খনিকটা অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে পান করুন। এর অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান ডায়রিয়া সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে ডায়রিয়া নিরাময়ে সাহায্য করে। এতে থাকা পেকটিন পেটের সমস্যা দূর করে ডায়রিয়া নিরাময় করে।   

ডায়াবেটিস: টাইপ-টু ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিন সংবেদনশীলতার উন্নতি করতে ও খাবার সময় রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার সহায়তা করে। রাতে দুই টেবিল-চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার খাওয়ার মাধ্যমে চার শতাংশ রক্তের শর্করা কমানো যায়। তবে এটা মনে রাখা প্রয়োজন যে, অ্যাপল সাইডার ভিনিগার কখনও ডায়াবেটিস রোগীর ওষুধের বিকল্প নয়।

গলার স্বর ভাঙলে: অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান গলার সংক্রমণ কমিয়ে গলার স্বর ভাঙার সমস্যা সমাধান করে। সমপরিমাণ পানি ও অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে প্রতি ঘণ্টায় গারগল করলে গলার খুশখুশেভাব দূর হবে।

জমাট বাঁধা ঠাণ্ডা: অতিরিক্ত ঠাণ্ডার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এক গ্লাস পানিতে এক টেবিল-চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে পান করুন। অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের পটাশিয়াম জমে থাকা শ্লেষ্মা বা কফ পাতলা করে বের হয়ে যেতে সাহায্য করে। এতে করে নাকের সমস্যার উপশম ঘটে। এর অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান ঠাণ্ডা সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস করে।      

ওজন নিয়ন্ত্রণ: অ্যাপল সাইডার ভিনিগার রক্তের শর্করা এবং ইনসুলিনের মাত্রা কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। গবেষণায় দেখা যায়, উচ্চ ক্যালরির খাবারের সঙ্গে দুই টেবিল-চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার পান করলে তা ২০০ থেকে ২৭৫ কম ক্যালরি গ্রহণে সহায়তা করে।

ছবি: রয়টার্স।