মন ভালো করার ৮ উপায়

শুধু সপ্তাহের প্রথম দিন নয় যে কোনো দিনই ক্লান্তি চেপে ধরতে পারে আপনাকে। তাই মন খারাপ বা ক্লান্তি কাটিয়ে ওঠার উপায় জানা থাকা চাই।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Jan 2017, 10:46 AM
Updated : 11 Jan 2017, 10:53 AM

জীবনযাপনবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে অবসাদ এবং মানসিক চাপ কাটিয়ে ওঠার কিছু উপায় তুলে ধরা হয়।

হাসির অনুষ্ঠান দেখুন: প্রিয় ড্রামা বা ট্র্যাজেডি সিরিজগুলো বাদ দিয়ে কমেডি সিরিজ দেখুন। হাসির সিরিয়াল বা সিনেমা মন ভালো করে তুলতে সাহায্য করে। পুরানো সিরিয়াল বা সিনেমা দেখতে পারেন আরও একবার। প্রিয় চরিত্রগুলো মজার কাণ্ডকারখানা আপনার মানসিক অবস্থার উন্নতিতে সহায়তা করবে।

মন ভালো করা গান: ‘স্যাড সং’ বা মৃদু লয়ের গান যতই প্রিয় হোক না কেনো মন খারাপ থাকলে এই ধরনের গানগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। বরং দ্রুত লয়ের মজার ও মন ভালো করা গানগুলো শোনার চেষ্টা করুন। ভালো গান শোনার ফলে শরীরে ডোপামাইন নামক একটি হরমোন নিঃসৃত হয় যা মন ভালো করে তুলতে সাহায্য করে। সকালে ঘুম ভাঙানোর জন্য অ্যালার্ম সেট করা হলে সেটিও হওয়া উচিত মজার কোনো গান বা মিউজিক। এতে ঘুম থেকে উঠতেও খুব বেশি কষ্ট হবে না।

প্রিয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলুন: ফোনে কথা বলুন অথবা ব্যস্ততার মাঝে সময় বের করে পরিবারের সঙ্গে বা প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করে আসুন। তাদের সঙ্গে নিজের সমস্যা এবং মন খারাপের কারণ নিয়ে কথা বলুন। মানসিক চাপের বিষয়গুলো নিয়ে প্রিয় মানুষদের সঙ্গে কথা বললে মন অনেক হালকা মনে হয়। তাছাড়া কথা বলার মাধ্যমে অনেক সময় সমস্যার সমাধানও বেরিয়ে আসে।

পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটান: নিজের পোষা প্রাণী অথবা বন্ধু বা প্রতিবেশীর পোষা প্রাণীর সঙ্গে কিছু বাড়তি সময় কাটালে মন অনেকটাই শান্ত হয়ে আসে। পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটালে মন ভালো করার হরমোন অক্সিটসিন, সেরোটনিন এবং প্রোল্যাকটিন নিঃসৃত হয়।

ব্যায়াম করুন: শুধু সুস্বাস্থ্যের জন্য নয়, মন ভালো রাখতেও ব্যায়াম বেশ উপযোগী। মাত্র পাঁচ মিনিট টানা ব্যায়াম করলে এন্ড্রোফিন নামক হরমোন নিঃসৃত হয়। যা ১২ ঘণ্টা মন ভালো রাখতে সহায়তা করে। এর জন্য জিমে যাওয়া তেমন জরুরি হয়। ঘরেও করা যায় এমন ব্যায়াম করলেও তা মানসিক অবস্থার উন্নতিতে সহায়তা করবে। তাছাড়া অবসাদ দূর করতে যোগ ব্যায়ামও বেশ কার্যকর। তবে আগে ভালোভাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে তবেই যোগ ব্যায়াম করা উচিত।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে দূরে থাকুন: বর্তমানে মানুষের জীবন অনেকটাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভিত্তিক হয়ে উঠেছে। সারাদিন কী করা হয়েছে বা কী চলছে সবই যেন সবাইকে জানানো চাই। এক্ষেত্রে অনেক সময় অন্যের জীবনযাপন দেখেও হতাশাগ্রস্ত হয়ে যান অনেকে। তাই মন ভালো রাখতে কিছু সময় এ ধরনের যোগাযোগ মাধ্যম থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।

শখের কাজ করুন: ছবি আঁকা, গান গাওয়া বা পছন্দের বাদ্যযন্ত্র বাজানো শেখা, বাগান করা ইত্যাদি যেকোনো পছন্দের কাজ বেছে নিতে পারেন শখ হিসাবে। তাছাড়া নতুন কোনো খাবারও রান্না করতে পারেন নিজের ও পরিবারের জন্য। এ ধরনের কাজগুলো আপনাকে ব্যস্ত রাখবে এবং মানসিক অবসাদও দূর করবে।

নিজেকে সময় দিন: ব্যস্ততার মাঝে অনেক সময়ই নিজের জন্য আলাদা সময় বের করা হয়ে ওঠে না। তাই নিজের জন্য আলাদা করে কিছুটা সময় বের করে নিন। পার্লারে গিয়ে অয়েল ম্যাসাজ বা ফেইশল করিয়ে নিন। পার্লারে যাওয়ার সময় না হলে ঘরেই নিজের যত্ন নিন। নখে নতুন নেইলপলিশ লাগিয়ে নিন, ঘরোয়া ফেইসমাস্ক লাগিয়ে পছেন্দের গান শুনুন।

আর ছেলেরা চাইলে আরামে শুয়ে বই পড়তে পারেন। যেটাই করুন না কেনো খেয়াল রাখুন সেটা যেন নিজেকে যত্ন করার বিষয় থাকে।

এই ছোটখাটো বিষয়গুলো মন ভালো করে তুলতে সাহায্য করবে।

ছবি: রয়টার্স।