গায়ের রং বুঝে চুলে রং 

চেহারায় পরিবর্তন আনতে চুলে রং করা বেশ জনপ্রিয়। তবে চুলে রং করতে গেলে গায়ের রংয়ের বিষয়টি মাথায় রাখা প্রয়োজন, তা না হলে অর্থ ও পরিশ্রম দুটাই বৃথা যাবে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Jan 2017, 10:37 AM
Updated : 6 Jan 2017, 10:08 AM

রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে কোন ধরনের গায়ের রংয়ের জন্য চুলের কোন রং বেশি উপযোগী সে সম্পর্কে জানা যায়। 

গায়ের রংয়ের ধরন: চুলে রং করার ক্ষেত্রে প্রথমেই গায়ের রংয়ের ধরন- তা বুঝতে হবে। গায়ের রং মূলত দুই ধরনের- একটি উষ্ণ বর্ণ ও অপরটি শীতল বর্ণ। একটু ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলেই নিজের গায়ের রংয়ের ধরন বোঝা যাবে। যারা উষ্ণ বর্ণের অধিকারী, রোদে গেলে তাদের ত্বকে খনিকটা পোড়াভাব দেখা যায় অর্থাৎ ‘ট্যান’ হয়। অন্যদিকে শীতল বর্ণের অধিকারীরা রোদে গেলে গায়ের রংয়ে লালচে-ভাব দেখা দেয়।

এছাড়াও হাতের কব্জিতে শিরার রং দেখেও নিজের গায়ের রংয়ের ধরন বোঝা যায়। সাধারণ রোদে উষ্ণ বর্ণের অধিকারীদের শিরা সবুজ রংয়ের ও শীতল বর্ণের অধিকারীদের শিরা নীলচে রংয়ের দেখা যায়।

চুল রংয়ের ধারণা: কিছু চুলের রং উষ্ণ রংয়ের অধিকারীদের ভালো আবার কিছু রং শীতল রংয়ের অধিকারীদের ভালো লাগে।

- চুলের প্রাকৃতিক রংয়ের চেয়ে দুই শেইড গাঢ় অথবা দুই শেইড হালকা রং বেছে নেওয়া উচিত।

- চোখের রংয়ের সঙ্গে মিলিয়েও চুলের রং নির্বাচন করা যায়।

- উষ্ণ গায়ের রংয়ের অধিকারীরা উষ্ণ রং যেমন- কপার এবং শীতল গায়ের রংয়ের অধিকারীরা আখরোট বাদামি রংয়ের মতো শীতল রং বেছে নিতে পারেন।

আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো চুলের রং: চলতি ট্রেন্ড ও গায়ের রংয়ের সঙ্গে মানানসই এমন ধরনের চুলের রং আপনার জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী।

প্রাকৃতিক চুলের রং: সকল শেইডের বাদামি, বারগান্ডি এবং লাল রংয়ের হাইলাইটকে প্রাকৃতিক রং বলা যায়। তবে মনে রাখা প্রয়োজন, অন্য দেশের মানুষের গায়ের রংয়ের সঙ্গে যে ধরনের চুলের রং মানানসই তা এদেশের মানুষের সঙ্গে মানানসই নাও হতে পারে। তাই গায়ের রং যদি ফ্যাকাশে ধরনের হয় তবে যে কোনো ধরনের সোনালি, ধূসর ও বাদামি রং না করাই ভালো।

বারগান্ডি: ভারতীয় নারীরা এই রং চুলে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেন। কারণ এই ধরনের ত্বকে এই রং বেশ মানায়।

বাদামি: ফ্যাশনের ক্ষেত্রে বাদামি রং একটু পানসে মনে হলেও চুলের রংয়ের ক্ষেত্রে এর নানান শেইড এশিয়া মহাদেশের মানুষদের সঙ্গে বেশ মানানসই।

গায়ের রং উষ্ণ ধরনের হলে চকলেট বাদামি ও ধূসর বাদামি রং বেশ ভালো লাগে। অন্য দিকে শীতল রংয়ের অধিকারীদের মেহগনি ও চেস্টনাট রংয়ের চুলে দেখতে বাশ ভালো লাগে।  

লাল: লাল রংয়ের বিভিন্ন শেইড থাকায় এটি বিচক্ষণতার সঙ্গে ব্যবহার করতে হয়। গায়ের রং উজ্জ্বল হলে চুলে হালকা লাল অথবা তামাটে লাল রং করা যেতে পারে। জলপাই বা স্বাভাবিক গায়ের রং যাদের তাদের সঙ্গে গাঢ় নীলচে লাল রং বেশ ভালো লাগে। 

উদ্ভট রং: নিজেকে যারা একটু ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে দ্বিধাবোধ করেন না তারা নানা রকমের উদ্ভট রং যেমন- সবুজ, বেগুনি, নীল অথবা গোলাপি রং ব্যবহার করতে পারেন। তবে লাল রং ব্যবহারে অনেক সাবধান হওয়া প্রয়োজন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি এই ধরনের রং ‘হাইলাইটার’ বা ‘স্ট্রিক’ হিসেবে ব্যবহার করা যায়।   

উষ্ণ রংয়ের অধিকারীদের চুলে যে রং উপযোগী

- গাঢ় বাদামি যেমন- চকলেট, চেস্টনাট অথবা পিঙ্গল রং বেইস হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

- চুলের হাইলাইটার হিসেবে উষ্ণ সোনালি, লাল অথবা তামাটে রং বেছে নিতে পারেন।

- নীল, বেগুনি, সাদা এবং গাঢ় কালো রং এড়িয়ে চলা ভালো। এই ধরনের চুলের রং ব্যবহারে দেখতে নির্জীব মনে হয়।  

শীতল রংয়ের অধিকারীদের চুলে যে রং উপযোগী

- ঠাণ্ডা ত্বকের সঙ্গে লাল যেমন বারগান্ডি অথবা বোর্ডাক্স রং বেশ মানানসই।

- উষ্ণ ত্বকের সঙ্গে লালচে বাদামি অথবা সোনালি রং ব্যবহার করা যেতে পারে।

- গাঢ় সোনালি, মধু বা তামাটে, ধূসর বাদামি ধরনের রং হাইলাইটার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

- সোনালি এবং ব্রোঞ্জ রং এড়িয়ে চলা ভালো, এতে দেখতে নির্জীব মনে হবে।

ছবির মডেল: আশা। মেইকআপ: হেয়ারোবিক্স ব্রাইডাল। ছবি: ই স্টুডিও।