বয়স ভেদে ওজন নিয়ন্ত্রণ

বয়স ভেদে দেহের অতিরিক্ত ওজন কমানোর পন্থা ভীন্ন। জেনে নিন কোন বয়সে কীভাবে বাড়তি ওজন ঝরাতে হয়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Dec 2016, 11:53 AM
Updated : 27 Dec 2016, 11:53 AM

বয়স বাড়ার সঙ্গে শরীরের বিপাক হার পরিবর্তিত হয়। তাই কম বয়সের ওজন কমানোর পদ্ধতি অনুকরণ করে বেশি বয়সে ওজন কমানো সম্ভব হয় না।

ভারতের ‘লাইভ নিউট্রিফিট’য়ের পরিচালক, ওবেসিটি, মেটাবলিক মেডিসিন এবং ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন কনসালটেন্ট ডাক্তার অঞ্জলি হুদা সাঙ্গোয়ান স্বাস্থবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে পরামর্শ দিয়েছেন কোন বয়সে কীভাবে দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে হয়।

প্রতি দশকে ওজন কমাতে: বিশ বছর বয়স ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য বেশি ফলপ্রসূ। বয়স প্রতি দশক বৃদ্ধিতে বিপাকের হার কমতে থাকে এবং খাওয়া নিয়ন্ত্রণ ও ব্যায়াম করলেও ওজন বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া আপনি বিশ বছর বয়সে যে ধরনের খাবার খেতেন সেই একই ধরনের খাবার খেলেও ওজন বাড়ে। তাই এই সময় ওজন কমানোর একমাত্র উপায় হল শরীরের ক্যালোরির পরিমাণ কমানো।

বয়স বাড়ার সঙ্গে পুষ্টিকর খাবার যেমন- ফল, বাদাম, জটিল শর্করা এবং শাকসবজি ইত্যাদি খাওয়া উচিত। জাঙ্ক ফুড অথবা ক্যালরিযুক্ত খাবার যেমন- ডোনাট, পেস্ট্রি, মিষ্টি ইত্যাদি কেবল অনুষ্ঠান হলেই খাওয়া ভালো, নিয়মিত নয়। প্রতিবেলায় খাওয়ার পরে ডেজার্ট বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া ওজন বৃদ্ধি করে।

ভারী খাবারের বদলে পরিপূরক পানীয় খাওয়া: অনেকসময় ডাক্তারের পর্যবেক্ষণে থেকে ভারী খাবারের বদলে পানীয়জাতীয় খাবার খেতে হতে পারে। তাই বলে সবসময় অন্ধের মতো এটি অনুসরণ করা ঠিক নয়। মনে রাখা উচিত যে, কোনো খাবারই আসল খাবারের মতো গুরুত্বপূর্ণ নয়। চিকিৎসার কারণে ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে থেকে ভারী খাবারের বদলে পরিপূরক পানীয় বা শেইক খাওয়া যেতে পারে। তাই বলে নিয়মিত নয়।

বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে থেকে ওজন কমায় এমন ধরনের পরিপূরক পানীয় খাওয়া যেতে পারে।

‘এফডিএ’ অর্থাৎ ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন’য়ের মতে, কিছু ওজন কমানোর সাপ্লিমেন্ট বা  পরিপূরক পানীয় আছে যা সত্যিই ওজন কমাতে সাহায্য করে।

রাতের ভারী খাবারের পরে সকালের নাস্তা: রাতে ভারী খাবার খাওয়া হলে যে পরেরদিন সকালে নাস্তা না করলেও চলবে তা ঠিক নয়। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে, সকালের নাস্তা করা না হলে তা ওজন বৃদ্ধি করে। তাই সকালে ঠিক মতো নাস্তা করা উচিত। রাতের ভারী খাবারের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।

ছবি: রয়টার্স।