ঘরের বাতাস পরিশোধনের সহজ উপায়

বায়ু দূষণের কথা আসলে বাইরের বাতাসের কথাই মনে হয়। তবে ঘরের বাতাসও হতে পারে দূষিত।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Dec 2016, 11:19 AM
Updated : 18 Dec 2016, 11:19 AM

ঘরের দূষিত বায়ু স্বাস্থ্যের পক্ষে যেমন ক্ষতিকারক, একইভাবে পরিবেশের জন্যও আশংকাজনক।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট থেকে ঘরের বাতাস নির্মল রাখার সহজ কিছু উপায় সম্পর্কে জানা যায়।

‘ক্লিন এয়ার ইন্ডিয়া মুভমেন্ট’য়ের অন্তর্ভুক্ত অ্যার্টেমিস হাসপাতালের একটি  গবেষণায় দেখা যায়, ঘরের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বায়ুবাহিত রোগের জন্য ৩১ শতাংশ দায়ী এবং ৪৬ শতাংশ লোক শ্বাসযন্ত্রের রোগের শিকার হয়ে থাকে।        

ঘরের দূষণ পর্যবেক্ষণ: ঘরের দূষণ পরিমাপের জন্য মোবাইলে 'পলিউশন ম্যাপিং' অ্যাপ্লিকেশন’টি ডাউনলোড করে নিতে পারেন। এছাড়া সবচেয়ে বেশি দূষণের সময় বিশেষ করে ভোর রাত ও সকালে দরজা জানালা বন্ধ করে রাখতে পারেন।

রান্না ঘরের ধোঁয়া বের করে দিতে চিমনি ব্যবহার: গবেষণায় দেখা গেছে, রান্না ঘরের ধোঁয়া ঘরের পরিবেশ দূষণের জন্য অনেকাংশে দায়ী। তাই রান্নার সময় এগজস্ট ফ্যান বা চিমনি ব্যবহার করা উচিত। এছাড়াও রান্না ঘরের তৈজসপত্রের তেল চিটচিটে ভাব কমানোর জন্য কয়েকদিন পর পর পরিষ্কার করত হবে।

ঘরের ভেতর ধূমপান না করা: ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক এবং একইভাবে এটি পরিবেশেরও ক্ষতি করে। তাই ঘরের ভেতরে ধূমপান করা উচিত না। অনেক ক্ষেত্রে ধূমপানের পরে হাত ও মুখ ধোওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

পরিবেশ পরিশোধনকারী গাছ লাগান: ঘরের অভ্যন্তরে গাছ পরিবেশ দূষণ কমাতে সাহায্য করে। এরা সালোকসংশ্লেষনের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবারহ করে ও ঘরের দূষিত বায়ু শোষণ করে। ঘরের বাতাস পরিশোধনের জন্য চন্দ্রমল্লিকা, স্পাইডার গাছ, বনসাই, পিস লিলি ইত্যাদি গাছ লাগাতে পারেন।

নিয়মিত বিছানার চাদর পরিবর্তন করা: সপ্তাহে অন্তত দুবার বিছানার চাদর ও বালিশের কাভার পরিবর্তন করা উচিত। সবসময় পরিষ্কার কাঁথা ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও ঘরের অভ্যন্তরের দূষণ প্রতিরোধে নিয়মিত পর্দা ধোয়াও একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। 

ঘর আর্দ্র না রাখা: ঘরের ভেতর আর্দ্রতা এবং ময়লা ও কীটপতঙ্গের উপদ্রব কমাতে সব সময় ঘর পরিষ্কার রাখা উচিত। ঘরের অভ্যন্তরের অতিরিক্ত আর্দ্রতা শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি করে। রান্না করার সময় এমনকি গোসলের পরে গোসলখানার এগজস্ট ফ্যান ব্যবহার করা উচিত। ভেজা জামা কাপড় বাইরে শুকাতে দিন। ঘরে রাখা গাছগুলো এমনভাবে পানি দেওয়া উচিত না যে তা জমে থাকে। এছাড়াও খেয়াল রাখতে হবে যে পাত্রের গায়ে কোনো ছিদ্র আছে কিনা। ঘরের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বিশেষ করে এয়ারকন্ডিশনার নিয়মিত পরিচর্চা করা উচিত।